শহরের গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যাস্ততম সড়ক বাজারঘাটা। বাজারঘাটায় রয়েছে একটি সৌন্দর্যেরর প্রতীক পুকুর। সংস্কার ও পরিচর্চার বাইরে এই পুকুরটি । সংস্কারের অভাবে অকেজো হয়ে পড়ে আছে সৌন্দর্যেরর প্রতীকটি। পুকুর পাড়ে যত্রতত্র ভাবে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। পুকুর পাড়ে ময়লা না ফেলার সাইন বোর্ড থাকলেে তা অমান্য করেই যত্রতত্র ভাবে ময়লা ফেলা হচ্ছে। সাইনবোর্ডের ওপরে কাকের পায়খানায় সাদা হওয়ায় তা পড়াই যাচ্ছেনা। সৌন্দর্যের হানি হচ্ছে পৌরএলাকার এর প্রভাব পড়ছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল যে, শুধু পুকুর পাড়ে নই পুকুরের পানিতে ও ফেলা হচ্ছে বিভিন্ন বর্জ্য ও পরিত্যাক্ত জিনিসপত্র। এর প্রতিটি পাড়েই যত্রতত্রভাবে জমে আছে ময়লা এবং পুকুরের পানিতে কাগজের নৌকার মত ভাসছে অনেক ময়লা ও বর্জ্য আবর্জনা। ফলে পুকুরের পানিগুলো গুলাটে হয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এমনকি পুকুরপাড়ে তৈরি হচ্ছে ছোট ছোট প্রসাব খানা। সেখানে বিশেষ করে সি.এন.জি ড্রাইভারেরা সেখানে প্রসাব করে আর রাত হলে টোকাই ছেলেরা প্রসাব পায়খানা কর পদার্থ। তৈরি হচ্ছে এক নোংরা পরিবেশ।
এই সব ময়লা থেকে দূর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে । নোংরা গন্ধ এত তীব্র ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে নাকে রুমাল চেপে হাঁটতেও কষ্ট হচ্ছে পথচারিদের। আর কোন বিকল্প রাস্তা নাথাকায় বাধ্য হয়ে নরকযন্ত্রণার মধ্যদিয়ে পুকুরপাড়েরর সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয় পৌরবাসির।
পুকুরের পাশে এক দোকানদার বলেন, এর আশেপাশে ফলের দোকান,মিষ্টির দোকান,সিদ্ধ করা ডিমের দোকানের নষ্ট এবং বাসি হওয়া সব খাবারগুলো এই পাড়েই ফেলা হয়। যার কারনে, এই পুকুরের এই অবস্থ। তিনি আরো বলেন পুকুরটির দায়িত্বে আছে বাজারঘাটা মসজিদ কমিটি।
পরে মসজিদেরর সেক্রেটারি ফরিদ আহমেদ চৌধুরির সাথে ফোনে আলাপ করে জানতে পারলাম, ১৯৯৬ সালে জেলা প্রশাসক জনাব আলি ইমাম মজুমদার মসজিদকে কাগজে কলমে দিয়ে দেন। পুকুরের করুন অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সি.এন.জি ড্রাইভারেরা সেখানে প্রসাব করার কারনে এই করুন অবনতি এবং আমি অসুস্থ ছিলাম। তবে কিছুদিনের ভিতরে সংস্কারের কাজ শুরু করব।