বঙ্গোপসাগরে মাছধরার বোটে অব্যাহত ডাকাতি রোধ ও ডাকাতদের গ্রেফতারের দাবীতে কক্সবাজার শহরের বিক্ষোভ মিছিল করেছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা। রোববার সকালে ১১টার দিকে এই বিক্ষোভ মিছিল হয়। কক্সবাজার ফিশারী ঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতি লিমিটেড ও হাঙ্গর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ব্যবসায়ীরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বঙ্গোপসাগরে মাছধরার বোটে দীর্ঘ দিন ধরে ডাকাতি করে আসছে চিহ্নিত দস্যুরা। এর ধারাবাহিকতায় বিগত এক মাসে ধরে অব্যাহত ভাবে ডাকাতি চালানো হয়েছে। এ সময়ে অন্তত ৩৫-৪০ তেকে বোট ডাকাতির শিকার হয়েছে। ডাকাতি এখনো ডাকাতি অব্যাহত রয়েছে। ডাকাতরা মাছ, জালসহ সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে জেলেদের উপর নির্মমভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। ডাকাতদের হামলায় বিগত এক মাসে অন্তত ১৫ জন জেলে মারাত্মক আহত হয়েছে। তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসাপাতাল ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
তারা আরো বলেন, ‘বিগত সময়ে ডাকাতের হামলায় জেলেদের প্রাণহানি, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছে। এ কারণে বতর্মানে মৎস্য আহরণ থমকে গেছে। দুর্দিন যাচ্ছে জেলেদের। একই সাথে মৎস্য ব্যবসীয়দের ব্যবসাও চরম মন্দায় পতিত হয়েছে। এতে করে মৎস্যের সাথে জড়িত শ্রমিকরা না খেয়ে থাকার উপক্রম হয়েছে।’
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত ডাকাতি হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কার্যকর ব্যব¯’া নেয়া হয়নি। জেলেদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কোস্টগার্ড নিরাপত্তা দেবে তো দূরের কথা উল্টো জেলেদের বিভিন্ন ভাবে চরম হয়রানি করে যাচ্ছে।’
বক্তারা হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, ‘ডাকাতদের অত্যাচারে আমাদের পিট দেয়ালে ঠেকে গেছে। পেছনের যাওয়ার মতো আমাদের আর কোন জায়গা নেই। তাই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সাগরে ডাকাতি রোধে ব্যব¯’া না নিলে রাজপথ অচল করে দেয়া হবে।’
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, পৌর কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, ফিশারীঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মনির উদ্দীন, মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ওসমান গণি টুলু, সাধারণ সম্পাদক জানে আলম পুতু, হাঙ্গর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, সাধারণ সম্পাদক হোছাইনুল ইসলাম বাহাদুর প্রমুখ। সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।