পূর্ব এশিয়ার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহে তাইওয়ানে ৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় আটকা পড়েছে অন্তত ৬০ হাজার পর্যটক। প্রচণ্ড ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হংকং, দক্ষিণ চীন ও জাপানের বেশির ভাগ এলাকা। বিবিসি অনলাইনের এক খবরে আজ সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।
তাইওয়ানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সপ্তাহের শেষ দিকে হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় অনেকে শরীরের তাপমাত্রা কমে ও হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
যারা মারা গেছেন তাদের বেশির ভাগই দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় তাইপে ও তাওয়ান অঞ্চলের। এবং তাঁরা বয়স্ক ছিলেন। গতকাল রোববার ওই সব এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কর্তৃপক্ষ লোকজনকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। সবাইকে গরম কাপড় পরে থাকতে ও ঠান্ডা থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে, বিশেষ করে জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের।
প্রচণ্ড তুষারপাতের কারণে দক্ষিণ কোরিয়ায় সুন্দর আবহাওয়া ও সৈকতের জন্য বিখ্যাত জিজু দ্বীপের বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে চলাচলকারী ৫’ শ বেশি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। গতকাল সেখানকার তাপমাত্রা ছিল ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সোমবার স্থানীয় সময় রাতে বিমানবন্দরটি পুনরায় খুলে দেওয়া হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহোপ জানায়, বিশাল সংখ্যক এই পর্যটকদের থাকা ও পরিবহনের ব্যবস্থা করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
হংকং-এর বাসিন্দারা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রীতিমতো ঠকঠক করে কাঁপছে। গত ৬০ বছরে এটি সেখানকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
জাপান ও চীনের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দক্ষিণ চীনের গোয়াংঝু ও শেনঝেন এলাকায় তুষারের দেখা পাওয়া বিরল ঘটনা। এবার সেই বিরল ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ ওকিনাওয়া প্রথমবারের মতো শিলাবৃষ্টি হয়েছে।
জাপানের বেশির ভাগ অংশে আঘাত হানা তুষারঝড়ের কারণে গতকাল ও আজ সোমবারের ৬০০ বেশি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সেখানে অন্তত ৫ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন।