কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আইনজীবীদের দুব্যর্বহারের শিকার হয়েছেন কর্মরত সংবাদকর্মীরা। গতকাল রাতে ১০টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার প্রাক্কালে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুর্ব্যবহারের শিকার সংবাদকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহ থেকে বিরত থেকে সিনিয়র সাংবাদিকদের পরামর্শে আইনজীবী সমিতির এই নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ থেকে সরে আসে।
দুর্ব্যবহারের শিকার সংবাদকর্মীরা জানান, তারা যথা নিয়মে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করতে যান। এসময় ঘোষিত ফলাফলের তথ্য নোট করার জন্য আইনজীবী সমিতির ভবনের ভিতরে অবস্থান করেন। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খান কায়সার মাইকে ঘোষণা দিয়ে সব সাংবাদিককে বের হয়ে যেতে বলেন। একই সাথে তিনি কয়েক জন জুনিয়র ও শিক্ষানবিশ আইনজীবীকেও এই নির্দেশ দেন। নির্দেশ মতে কয়েকজন জুনিয়র ও শিক্ষানবিশ আইনজীবি অবস্থানরত সংবাদকর্মীদের বের হয়ে যেতে বলেন। এসময় তারা ‘সাংবাদিকদের দরকার নেই’ বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তারা গায়ে হাত দিয়ে ঠেলে সংবাদকর্মীদের বের করে দেন। এমনকি নির্দেশ দিলে দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ডও সংবাদকর্মীদের ঠেলে বের করে দেন। এ ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন দুর্ব্যবহারের শিকার সংবাদকর্মীরা। তারা যৌথভাবে সংবাদ বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য তারা তাৎক্ষণিক সম্পাদক পরিষদের নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি অবগত করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। একই সাথে সিনিয়র সাংবাদিকদেরও বিষয়টি জানান। সম্পাদক পরিষদ নেতৃবৃন্দ ও সিনিয়র সাংবাদিকদের পরামর্শ মতে দুর্ব্যবহারের সংবাদকর্মীরা আদালত পাড়া থেকে চলে আসে।
অভিযোগ মতে, সংবাদকর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহারের প্রধান হোতা সাবেক দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার গোলাম ফারুক খান কায়সার। তিনি ব্যক্তিগত প্রভাব দেখিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সংবাদকর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন। তার বাবা কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কারান্তরীণ ছালামত উল্লাহ খান নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার ইস্যুকে কেন্দ্র করে ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে এই দুর্ব্যবহার করেছেন। অন্যান্য দুর্র্ব্যবহারকারীরও তার আজ্ঞাবহ লোক। তাদের বিচার দাবি করেছেন দুর্ব্যবহারের শিকার সংবাদকর্মীরা।
এঘটনায় তাৎক্ষণিক নিন্দা জানিয়েছেন কক্সবাজারের কর্মরত সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারাও এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।