কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রায় ৪০ দিন ধরে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে কেউ না থাকায় সব ধরনের দাপ্তরিক এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে বলে জানান অসংখ্য জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এদিকে চেয়ারম্যনের দায়িত্বে কেউ না থাকায় মাসিক সমন্নয় সভা এমনকি উন্নয়ন সভাও করা যায় নি। আর আটকে আছে বহু গুরুত্বপূর্ন ফাইল আর নথিপত্র। এদিকে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির সুযোগে আর উপজেলা ভবন নির্মানের কারনে বেশির ভাগ কর্মকর্তা এখন অফিস করে না বলে জানান ভুক্তভোগীরা। সকলের দাবী দ্রুত আইনী জটিলতা নিরসন করে কক্সবাজার সদর উপজেলার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হউক।
কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার আবদুল কাদের বলেন ২৮ ডিসেম্বর কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে সরকারের পক্ষ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার পর থেকে অদ্যবদি কাউকে চেয়ারম্যানের স্থায়ি দায়িত্ব দেওয়া হয় নি যার ফলে অন্যান্য ইউনিয়নের মত আমাদের ইউনিয়নের সব ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প থমকে আছে, ঠিকাদাররা ঠিকমত বিল না পাওয়ার আশংকায় কাজ বন্ধ রেখেছে। আবার ইউনিয়নের দৈনিক কিছু কাজ থাকে উপজেলার সাথে সেখানেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়মিত অফিস করে কাজে কিছুটা গতি ধরে রেখেছে, তবে সেটা উপজেলা চেয়ারম্যানের টেবিলে গিয়ে আটকে যাচ্ছে। ঝিলংজা ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন জিকু বলেন এটা সত্যি যে উপজেলা পরিষদের কাজে বেশ ধীর গতি চলে এসেছে। কারণ পুরো উপজেলার সব ধরনের উন্নয়ন কাজের ফাইলে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর লাগে আর নিয়মিত দাপ্তরিক কাজেতো অবশ্যই। তাই চেয়ারম্যান না থাকার ফলে সব কাজ বাধা গ্রস্থ হচ্ছে। আমরা চাই যেই হউক দ্রুত চেয়ারম্যানের দায়িতে দেওয়া হউক। এটা পর্যটন নগরী এখানে অনকে সিন্ধান্ত আছে খুব দ্রত আর হঠাৎ নিতে হয় তাই যে কোন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ছাড়া সেটা সম্ভব নয় তাই সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সেটা বুঝা দরকার। ঈদগাও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহল জাহান চৌধুরী বলেন আমার বেশ কয়েক টি প্রকল্প চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের কারনে আটকে আছে শুনেছিলাম মাঝখানে কিছু দিন চেয়ারম্যান জিএ রহিমুল্লাহ দায়িত্ব পেলেও তিনি কিছু ফাইল স্বাক্ষর করেন কিন্তু ২ দিন পরেই আবার দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত হন। এর পরে আর কেউ দায়িত্ব পান নি কাল সবাই সাফার করছে। আর এর মধ্যে অফিস ভবনের নির্মান কাজ চলছে সেটাও ঠিকমত তদারকি করার কেউ নেই। আমি প্রত্যাশা করি খুব দ্রুত কক্সবাজারের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে স্থায়ি ভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হবে। খুরুশকুল ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার আবদু রহিম বলেন গত মাসে আইন শৃংখলা কমিটির সভা হলেও উন্নয়ন সমন্বয় সভা হয় নি। এতে পুরো উপজেলার উন্নয়ন কার্যক্রম যে স্থবির হয়ে আছে সেটাই প্রমান পাওয়া যায়। এদিকে উপজেলায় কর্মরত কয়েক জন কর্মকর্তা বলেন নিয়ম অনুযায়ী আমাদের সব ধরনের দাপ্তরিক ও উন্নয়ন কাজে স্বাক্ষর করবেন উপজেলা চেয়ারম্যান সে হিসাবে আমাদের কাজে বেশ সমস্যা হচ্ছে। সেটা দ্রুত নিস্পত্তি হওয়া দরকার।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান হেলেনাজ তাহেরা বলেন সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাধাগ্রস্থ করতে একটি পক্ষ কাজ করছে। আমি চাই সরকারের নিয়ম অনুযায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাক। কিন্তু উচ্চ পর্যায়ের কিছু সমস্যার কারনে। মাঝখানে কয়েক দিন আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয় নি। তিনি বলেন উপজেলার সকল কার্যক্রম স্থবির। উন্নয়ন কার্যক্রম থেকে সব ধরনের কাজ বন্ধ। আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বাহাদুর বলেন সত্যি বলতে উপজেলার সাভাবিক কার্যক্রম কিছুটা স্থবির। তবে আমরা দাপ্তরিক কাজে গতি ধরে রেখেছি।
আলাপকালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন চেয়ারম্যান ২৮ ডিসেম্বর থেকে অনিয়মিত। এর ফলে সব ধরনের দাপ্তরিক কাজে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।