স্থানীয় সরকার তথা ইউপি নির্বাচনের প্রথম, ২য় ধাপ শেষ হয়েছে সফলভাবে। প্রথম দফায় মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও টেকনাফের ১৯ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় শেষ হয়েছে পেকুয়ার ৭ ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ। তৃতীয় দফায় ভোট গ্রহনের প্রস্তুতি চলছে। এবার প্রথম দলীয় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চ্যালেঞ্জ সরকার গ্রহণ করে সফল বলা চলে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী নির্বাচনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হলেও শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহী প্রার্থী পুরোপুরি বন্ধ করতে পারেনি উভয় দল। এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আ’লীগ ব্যাপক সফলতা পেয়েছে।
এদিকে জেলার ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ ধাপে নির্বাচনের জন্য আ’লীগের প্রার্থীর তালিকা প্রস্তুত করে চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে কেন্দ্রে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রিয় কমিটি। প্রার্থীদের সার্বিক দিক বিবেচনা করে ক্লীন ইমেজ, পরীক্ষিত এবং দলের দুঃসময়ে মাঠে থাকা প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে তালিকা প্রেরণের জন্য সংশ্লিষ্ট মনোনয়ন কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকায় স্থান পেতে রামু, সদর, উখিয়ার সম্ভাব্য প্রার্থীরা দৌড়ঝাপ শুরু করেছে জেলা ও উপজেলা আ’লীগের নেতাদের দ্বারে দ্বারে। অনেকে জেলা ও উপজেলা থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে কেন্দ্রিয় কমিটির কাছে ধর্না দিচ্ছে। অনেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মনোনয়ন পেতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছে।
উখিয়া, সদর, রামুতে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে সাংসদ ও উপজেলা আ’লীগের মধ্যে দ্বন্দ্বের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে রামুতে এ দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করেছে।
এদিকে সদর আ’লীগের ৯ এপ্রিলের বৈঠকে সদরের আ’লীগের প্রার্থী মনোনয়ন চুড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রিয় আ’লীগের বৈঠকে ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ ধাপের নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা জেলা ও উপজেলা আ’লীগের মনোনয়ন কমিটি ১৫ এপ্রিলের মধ্যে কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করতে ৮ দিন মাত্র সময় পাচ্ছে।