‘ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগীর মৃত্যু হয়েছে’। শিক্ষা জীবনের ইংরেজি অনুবাদ করার শব্দ নয় এটি। এটি ঘটেছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। মাহি নামে ৬ মাসের এক শিশু কন্যাটি শুক্রবার বিকাল ৩ টায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মারা যান। শিশুটি রামু উপজেলার কাউয়ার কুপ এলাকার আবু বক্কর ছিদ্দীকির।
নিহত শিশুর পিতা আবু বক্কর জানান, তার কন্যা মাহি ডায়রিয়ার আক্রান্ত হওয়ায় সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন। চিকিৎসক শিশুটিকে হাসপাতাল ওয়ার্ডে ভর্তি দেন। ওয়ার্ডে নেওয়া পরে বেশি কিছুক্ষন পার হয়ে গেলেও শিশুটিকে কোন নার্স বা চিকিৎসক দেখতে আসেননি। পরে শিশুটির নড়াচড়া না থাকায় দায়িত্বরত নার্সদের দৌড়ঝাপ শুরু হয়ে যায়। নার্সরা হাতে ও পায়ে স্যালাইন দেয়। এরমধ্যে নার্সদের একজন জরুরী বিভাগে যান ডাক্তার ডাকতে। অন্য এক নার্স ইন্টারনির চিকিৎসকেও ডাকতে যান। দীর্ঘসময় তারা চিকিৎসক খোঁজাখুজি করেও কোন চিকিৎসকে ওই শিশুটির পাশে আনতে পারেনি।
সবশেষে অভিভাবকদের অনুরোধে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক এসবি শর্মা এসে শিশুটিকে দেখেন আর মৃত্যু ঘোষনা করেন। নিহত মাহির বাবার অভিযোগ চিকিৎসকের অভাবেই তার শিশু মারা গেছেন।
ডায়রিয়া ওয়ার্ডের দায়িত্বরত নার্স প্রধান চন্দনা চক্রবর্তি জানান, শিশুটি যখন থেকে ওয়ার্ডে আনা হয় তখন থেকে শিশুটির নড়াচড়া ছিলনা। তবে সেলাইন ঠিকই চলছিল। শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চিকিৎসকদের ডাকতে গেলেও কোন চিকিৎসক পাওয়া যায়নি। ওই ওয়ার্ড়ে দায়িত্বরত চিকিৎসকের ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, শুক্রবারে চিকিৎসকরা তেমন থাকেননা।
জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক এসবি শর্মা জানান, জরুরী বিভাগে সমসময় আংশকাজনক রোগী থাকায় দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়া যায় না। এরপরেও শিশুটিতে দেখতে যান। যদিও তাকে বাঁচানো যায়নি।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডাক্তার রতন চৌধুরী জানান, অভ্যন্তরিন বিভাগে চিকিৎসক ছিলেন হয়ত নার্সরা খোঁজে পায়নি।