1. arif.arman@gmail.com : Daily Coxsbazar : Daily Coxsbazar
  2. dailycoxsbazar@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  3. litonsaikat@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  4. shakil.cox@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  5. info@dailycoxsbazar.com : ডেইলি কক্সবাজার : Daily ডেইলি কক্সবাজার
সরকারকে ডুবাচ্ছে পুলিশ - Daily Cox's Bazar News
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
ডেইলি কক্সবাজারে আপনার স্বাগতম। প্রতি মূহুর্তের খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
সংবাদ শিরোনাম ::
কট্টরপন্থী ইসলামী দল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ: এসএডিএফ কক্সবাজারের আট তরুণ তরুণীকে ‘অদম্য তারূণ্য’ সম্মাননা জানাবে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি Job opportunity বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়না, নাকি স্বপ্নের দেশ! আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধের আহ্বান আরব লীগের পেকুয়ায় পুলিশের অভিযানে ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার-১ পেকুয়ায় অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল : অস্ত্রসহ আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন টেকনাফে একটি পোপা মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা ! কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-১ নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা

সরকারকে ডুবাচ্ছে পুলিশ

ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
  • ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে

Police-new-logo-dcএকশ্রেণির পুলিশ সদস্যদের নানা অপকর্মে অনেকটাই ইমেজ সঙ্কটে পড়েছে সরকার। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে অসাধু পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেই তাৎক্ষণিক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু এরপরও পুলিশের হাত থেকে রেহাই মিলছে না সাধারণ নাগরিকদের।

চা বিক্রেতা বাবুল মাতাব্বরের মৃত্যু ঘিরে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ৩০২ ধারায় (হত্যাকাণ্ড) এফআইআর দায়ের করে মামলাটিকে দ্রুত বিচার আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

অপরদিকে পুলিশ সদস্যদের অপরাধ জিরো টলারেন্স দেখাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। কোনো পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় নেবে না বললেও তাদের অপরাধ পুলিশ দিয়ে তদন্ত করায় সুফল মিলছে না।

এদিকে চা বিক্রেতা বাবুল মাতাব্বরের মৃত্যু ঘিরে দেশজুড়ে পুলিশের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় বইছে। পাশাপাশি এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনীতিও। এ রাজনীতিতে মেতে উঠেছেন দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা। মানবাধিকার কমিশনও এ বিষয়ে কড়া কথা বলে দিয়েছে। সবারই ভাষ্য_দোষী পুলিশ সদস্যদের বিচার নিশ্চিত করা। তাই অনেকটা সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক পাড়া। পুলিশের মানুষ হত্যা থেকে শুরু করে নির্মম আচরণ সরকারকে জনগণের চোখে হেয় প্রতিপন্ন করছে। সরকারের প্রতি সৃষ্টি হচ্ছে বিরূপ মনোভাব। সরকার হারাচ্ছে জনপ্রিয়তা।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, আগুনে দগ্ধ হয়ে চা দোকানির মৃত্যুর ঘটনা দ্রুত বিচার আইনের আওতায় আনা উচিত। আগামী এক মাসের মধ্যে বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে তিনি এ দাবি জানান। তিনি বলেন, এ মৃত্যু চাঞ্চল্যকর ঘটনা। মানুষ যার ওপর সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে সেই পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। সেখানে তদন্তের কী আছে? অবিলম্বে এই মামলাটিকে দ্রুত বিচার আইনের আওতায় নিয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে বিচার নিশ্চিত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করুন। ফৌজদারি আইনের ৩০২ ধারায় এফআইআর দায়ের করে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।

অপরদিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের অভিযোগ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিবেকহীন ও অবিশ্বাস্য রকম বেপরোয়া বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার বিগত কয়েক বছর বিচারবহির্ভূত হত্যা, বেআইনি গুম ও গুপ্তহত্যা সংঘটিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে যে ছাড়পত্র দিয়েছিল তাতে তারা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে।

গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে চা দোকানি বাবুল মাতাব্বরের মৃত্যুর প্রতিবাদে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। বাবুলের মৃত্যু হত্যাকাণ্ড, অভিযোগ করে রিজভী আহমেদ বলেন, আমরা এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে দলের পক্ষ থেকে তার রুহের মাগফিরাত কামনা এবং দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যরা এখন চাঁদাবাজি, জুলুম, প্রহার, নিরীহ মানুষকে আটক করে পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে মামলা দেয়া কিংবা ভয় দেখানো, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, আদায় না হলে হত্যা করার মতো পৈশাচিক অপকর্মে লিপ্ত।

এ বিষয়ে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের বাড়াবাড়ি সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এদের চিহ্নিত করে রুখে দেয়া দরকার। রক্ষক এখন ভক্ষকের ভূমিকায় উল্লেখ করে মিজানুর রহমান বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনে পুলিশ অবহেলা করছে। তিনি বলেন, পুলিশের এসব কর্মকাণ্ড আগের মতো এবারও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে। তারা যদি ব্যবস্থা না নেন, তবে মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, বাবুল মাতাব্বরের কাছে কোনো চাঁদাবাজ বা সন্ত্রাসী চাঁদা চাইতে যায়নি। পুলিশ ও পুলিশের সাথে সংশ্লিষ্টরাই চাঁদা আদায় করতে গেছে এবং এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে বুধবার মিরপুর ১ নম্বর গুদারাঘাটে চাঁদা না পেয়ে পুলিশ চা বিক্রেতা বাবুলের চায়ের দোকানের কেরোসিনের চুলায় বাড়ি মারলে কেরোসিন ছিটকে তার গায়ে আগুন ধরে যায়।

এদিকে দেশবাসীর নিকট একটি স্বচ্ছ পুলিশ বাহিনী উপহার দিতে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে কিছু পুলিশ সদস্য পুরো বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এসব সদস্য একের পর এক অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ায় অন্য পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ক্রমেই অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রাজনৈতিক পরিচয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে যোগ দিয়ে পুলিশের পোশাক পরেই এরা নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন। ধরা পড়েছেন দুই-চারজন। বাকিরা থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

জানা গেছে, দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকারি দলের নেতাকর্মীদেরও। ঐসব পুলিশ সদস্যরা নিজেদের গোপালগঞ্জ এবং কিশোরগঞ্জ জেলার পরিচয়ে দাপটের সঙ্গে রাজত্ব কায়েম করছে। ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, চাঁদাবাজি, চেইন অব কমান্ড অমান্যসহ বিস্তর অভিযোগ আসছে প্রতিদিনই। এসব অপরাধের অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়ার অপরাধ প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। তবে মিডিয়ার বদৌলতে কিছু কিছু অপরাধের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এদিকে, যেকোনো অন্যায়ের বিষয়ে সরকার জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করবে বলে পুলিশের সদস্যদের সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমপ্রতি রাজধানীতে পুলিশ সপ্তাহ-২০১৬ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনে পুলিশকে হতে হবে তীক্ষ্ন বুদ্ধিমত্তার অধিকারী, ধৈর্য্যশীল, মানবিক ও পেশাদার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমাদের বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো দাঁড়াতে হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2020 Dailycoxsbazar
Theme Customized BY Media Text Communications