কক্সবাজার রিপোর্ট : দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ থাকা সত্বেও বনবিভাগের হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছে না মহেশখালীর চিংড়ি জমির লীজ গ্রহীতারা। এ ছাড়া উপজেলা ভূমি অফিস কোন প্রকার সহযোগিতা না করায় চরম ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন লীজ প্রাপ্তরা। যার ফলে বিপুল পরিমান চিংড়ি উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ মানছে না মহেশখালীর বনবিভাগ। আদেশ বাস্তবায়ন বনবিভাগ দাবী করছে মোটা অংকের টাকা। লীজপ্রাপ্তরা টাকা না দেওয়ায় চিংড়ি চাষীদের উপর অযথা হয়রানি করে যাচ্ছে। ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৬ ও ২০০৭ সালে কুতুবজুম ও বড়মহেশখালীর ৩০ জন চিংড়ি চাষী সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী চিংড়ি জমি লীজ প্রাপ্ত হন। এরপর থেকে চিংড়ি চাষ শুরু করেন। হঠাৎ করে ২০১৩ সালে লীজপ্রাপ্ত জমি দাবী করে বনবিভাগ ৬ ধারা মোতাবেক ইশতিহার প্রকাশ করেন। যথারীতি চিংড়ি চাষীরা নির্দিষ্ট সময়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও ফরেস্ট সেটেলমেন্ট অফিসার বরাবর আপত্তি দায়ের করেন। যার বিবিধ মামলা নং ২/২০১৩। পরবর্তিতে লীজকারীগণ মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন দায়ের করেন যার নং ৫৩৬৫/২০১৩। মহামান্য হাইকোর্ট রীট শুনানীর পর উক্ত রীট মামলায় ১১/০৬/২০১৩ তারিখের আদেশে তফসিলোক্ত জমিতে দরখাস্তকারীগণের ভোগ দখলে বেঘাত সৃষ্টি না করার জন্য বনবিভাগকে নির্দেশ প্রদান করেন। মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের আদেশের প্রতিপক্ষ বনবিভাগ মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের মাননীয় চেম্বার জজ বরাবরে লীভটু আপিল ২০০৮/২০১৩ মামলা দায়ের করলে গত ১১/০৯/২০১৩ ইং তারিখে মাননীয় চেম্বার জজ আদালত উক্ত লীভটু আপিল খারিজ করে দেন। উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে বনবিভাগ কর্তৃক পুনরায় মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণঙ্গ বেঞ্চে আবেদন করলে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাূর্ণঙ্গ বেঞ্চ মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। একই সাথে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব ও ফরেস্ট সেটেলমেন্ট অফিসারকে বিবিধ মামলা নং ২/২০১৩ মামলাটি আদেশে ৯/৯/১৫ ইং তারিখে মহামান্য হাইকোর্টে বিভাগের আদেশ প্রতিপালনের জন্য উপকূলীয় বনবিভাগ চট্টগ্রাম (দ্বিতীয় পক্ষ)কে নির্দেশ প্রদান করেন। লীজ গ্রহীতা নবী হোসেন জানান, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ থাকা সত্বেও আমাদের নানাভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে বনবিভাগ। আমাদের জমিতে হাইকোর্ট বিভাগের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। যা উচ্চ আদালতের আদেশকে অবজ্ঞা করার সামিল। এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা সহকারি ভূমি কর্মকর্তা নোমান হোসেন জানান, বনবিভাগ সময় চেয়ে দরখাস্ত করায় একটু বিলম্ব হচ্ছে। এ ছাড়াও বনবিভাগ তেমন সহযোগিতা করছে না। উচ্চ আদালতের আদেশসহ সবকিছু ঠিক আছে। তবে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।