দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে কুতুবদিয়া দ্বীপ অঞ্চল। বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে দ্বীপটির দক্ষিন অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা। পাশাপাশি হুমকীর মুখে পড়ছে দ্বীপের একমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদণ কেন্দ্র বায়ুবিদ্যুৎ সহ লবণ মাঠ, মৎসঘের এবং ঘোটা দ্বীপঅঞ্চলের বসতবাড়ী। ইতিমধ্যে দ্বীপের বাতিঘর সহ অধিকাংশ জায়গা সাগরগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেক পরিবার বাস্তুহারা হয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকা পেকুয়া, চকরিয়া ও পার্বত্যাঞ্চলে বসবাস করতেছে। চরম দূর্ভোগে দ্বীপঅঞ্ছলের মানুষ। প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছে জোয়ার-ভাটা, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও ঝড়োহাওয়ার সাথে। আরো বেশি সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে আসন্ন বর্ষা
মৌসুমের ঝড়োহাওয়া ও জলোচ্ছ্বাসে। একসময় সাগর উত্তাল থাকে। এমন পরিস্তিতি থেকে উত্তরণের দাবী জানিয়েছেন দ্বীপঅঞ্চলে বসবাসরত সচেতন মানুষ। বন্যা, জ্বলোচ্ছাস, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা ও পরিবেশ রক্ষা করে বেড়িঁবাধ সংস্কারের উপর সংশ্লিষ্ট তরফ থেকে কাজ করার দাবী করে আসলেও সরজমিনে এ চিত্র অনেকটা ভিন্ন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া বেড়িঁবাধ রক্ষায় স্থানীয় প্রসাশনের তেমন কোন উদ্যোগ
চোখে পড়েনা। মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে জেলার অনেক কর্মকর্তা দ্বীপ পরিদর্শনে আসলেও কোন আশার আলো দেখতে পায়নি দ্বীপবাসী। স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসমাইল জানিয়েছেন, কর্মকর্তারা দ্বীপ পরিদর্শনে আসলে তাদের বিনোদনের খোরাক হতে পারে,
কিন্তু দ্বীপবাসীর কোন পরিবর্তন হয় না। অচিরেই বেড়িঁবাধ সংস্কার করে এ দ্বীপবাসীদেরকে বাঁচানোর আকুতি জানিয়েছেন
কুতুবদিয়া দ্বীপঅঞ্চলের জনসাধারণ। অন্যথায়, বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে সাগরগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে কক্সবাজারের সাগর দ্বীপ নামক এই কুতুবদিয়া উপজেলাটি। ঠিকানাবিহীন হয়ে যাবে সাগর দ্বীপে বসবাসকারী ১০ লক্ষ জনসাধারণ।