কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপকূলের ১০ ফিশিংট্রলারসহ গভীর সাগরে মাছ ধরা অবস্থায় প্রায় ৩০টি ফিশিংট্রলারে গণডাকাতি করেছে সশস্ত্র জলদস্যু বাহিনী। ডাকাতদলের টার্গেট পূরণ না হওয়ায় ঐসব ট্রলার থেকে মাঝি ও ড্রাইভারসহ প্রায় ৫০জেলেকে অপহরণ করে গোপন আস্তানায় নিয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার ও বুধবার সকাল পর্যন্ত খুলনা সুন্দরবনের অদূরে জেলেরো ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে গেলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ট্রলার মালিকরা নিশ্চিত করে। বর্তমানে জলদস্যুরা জেলেদেরকে অজ্ঞাতস্থানে আটক রেখে মোবাইলের মাধ্যমে ট্রলারের মালিকের নিকট থেকে প্রতি জেলেদের মুক্তিপণের জন্য এক লাখ করে ৫০ লাখ টাকা দাবী করছে বলে মৎস্যজীবিদের অভিযোগ। জলদস্যূদের কবলে জেলে অপহরণের খবর কুতুবদিয়া উপকূলে পৌছলে অপহৃত পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এমনকি জলদস্যুদের টার্গেট মোতাবেক টাকা না পৌছালে জেলেদের ফেরত ও ট্রলার সাগরে মাছ ধরার জন্য নামতে দেব না বলে হুশিয়ারি দিয়েছে। গত এক মাস ধরে জলদস্যু বাহিনী সাগরে জলদস্যুতা করে গেলেও সাগররক্ষা বাহিনী কোস্টগার্ড,নৌবাহিনীর ভমিকা নিয়ে জেলেদের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কুতুবদিয়া দ্বীপের অপহৃত জেলে আলহাজ ছাবের আহমদ কোম্পানী এফ.বি আল্লারদান ও এফ.বি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি মোঃ হোসেন (আজালা) মাহাবুবুল হক, আবদু রশিদ প্রকাশ (বইল্যা) কোম্পানীর সাগর কন্যা ট্রলারের ২জন, দিদার কোম্পানীর দুই ট্রলারের ৪জন, আলী আকবর ডেইল কুমিরারছড়ার রতœসেন বহদ্দারের ২টি ট্রলারের ড্রাইভার নুর হোসেন,সুজন,সাজু, সুভাষ ও ওসমান। একই এলাকার শেখ কামাল কোম্পানীর ১টি ট্রলারের মাঝি রহিম ও ড্রাইভার মিন্টু জলদাশ,সত্যরঞ্জন বহদ্দারের ২টি ট্রলারের নাছির ,লেডু জলদাশসহ ৪ জেলেকে অপহরণ করে জলদস্যূরা। কুতুবদিয়া ফিশিংট্রলার মাঝি সমিতির সভাপতি নুরুল আলম জানান,মৎস্যজীবিরা এ শুস্ক মৌসুমে সাগরে মাছ আহরণের জন্য কোটি কোটি টাকা পুঁজি বিনিযোগ করে চরম নিরাপত্তাহীনতায় সাগরে মাঝ ধরতে যেতে পারছেনা জেলেরা। কুতুবদিয়া ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন কোম্পানী জানান কুতুবদিয়ার ১০ জেলেসহ অন্যান্য উপকূলের অপহৃত ৫০ জেলেদের উদ্ধার পূর্বক জলদস্যুদের আটক করার দাবী জানান। অবশ্য কুতুবদিয়ার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএস থোয়াই গভীর সাগরে ডাকাতির ব্যাপারে তাদের করার কিছু নেই জানান।