প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিনে ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুন্ন করায় কক্সবাজার সরকারী মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সভাপতি ডাঃ রিপন চৌধুরীকে শায়েস্তা করলেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক । আজ দুপুরে কক্সবাজার সরকারী মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান শেষে সরকারী ছাত্রাবাসের ফরম বিতরণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকা ও ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুন্ন করার অভিযোগে এই ছাত্রলীগ নেতাকে পেটানো হয়। কক্সবাজার সরকারী মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের তাৎক্ষনিক শাস্তি প্রদান করায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইসতিয়াক আহাম্মদ জয় ও সাধারন সম্পাদক ইমরুল রাশেদকে সাধুবাদ জানিয়েছেন উপস্থিত সকলেই। সিনিয়র নেতারা যদি এইভাবে দলের সুনাম বিনষ্টকারীদের কঠোর ভাবে দমন করে তাহলে ছাত্রলীগে নাম ব্যবহার করতে অপকর্ম করতে সাহস পাবেনা বলে মতামত দিয়েছেন শুভানুধ্যায়ীরা।
আজ সোমবার সকালে কক্সবাজার সরকারী মেডিকেল কলেজের প্রথমর্ষের ওরিয়েন্টেশনে অংশ নেয়া শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের রুমে আটকিয়ে রেখে জোর পূর্বক বেসরকারী ছাত্রাবাসে থাকার ফরমে পূরন করিয়ে নেয় ছাত্রলীগের একাংশ। এসময় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের পরপর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইসতিয়াক আহম্মদ জয় ও ইমরুল হাসান রাশেদ ঘটনা স্থলে এসে ঘটনার কারন বিস্তারিত জানেন। এই সময় দলের সুনাম ক্ষুন্ন করা ও মেডিকেলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি রিপন চৌধূরীকে ধোলাই দেন। পরে কক্সবাজার সদর থানার ওসি আসলাম হোসেন ও ওসি তদন্ত বখতিয়ার চৌধুরী এসে ডাঃ রিপন চৌধূরীকে মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেন।
পরে পুলিশ ও জেলা ছাত্রলীগের নেতারা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের রুমে দীর্ঘক্ষন রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। এ সময় মেডিকেল কলেজ কতৃপক্ষ জানান,কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভপতি ডাঃ রিপনের চৌধুরীর নেতৃত্বে আজ ওরিয়েন্টেশর অনুষ্ঠানে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার সরকারী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম জানিয়েছে, আজ দুপুরে প্রথম বর্ষের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্টান শেষে নতুন ছাত্রদেরকে সরকারী ছাত্রাবাসে ফরম বিতরণ করা হচ্ছিল। এই সময় ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সভাপতি ডাঃ রিপন , ৫ম বর্ষের ছাত্র জাহিদ হোসেন ও মুন্তাহার মৌ, মিনহাজ ভূইয়া, মোস্তফা ইমন চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জন নতুন ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের রুমে আটকিয়ে রেখে সরকারী হোষ্টেলের ভর্তির ফরম কেড়ে নেয়া হয়। এসময় তারা ঐ ছাত্রদের জোর পূর্বক বেসরকারী ছাত্রাবাসের থাকার ফর্ম পূরন করিয়ে নেয়। এ সময় ছাত্রলীগের অপর পক্ষ বাধা দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওায়া হয়। আহত ৫ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় আজ সন্ধ্যায় মেডিকেল কলেজের জরুরী সভার আহবান করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইসতিয়াক আহম্মদ জয় জানিয়েছে, রিপন চৌধূরী মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অপকর্ম করতো। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপ্রতির আদেশ অমান্য করার ও অভিযোগ রয়েছে। তাই দুই মাস আগে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজকে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিনও মেডিকেল কলেজের অনাখাংকিত ঘটনাটিও তার নেতৃত্বে হয়েছে। দলের সুনাম ক্ষুন্ন করলে কাউকেই ছাড়দেয়া হবে না।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ইমরুল রাশেদ জানিয়েছেন, আজ সারাদেশে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উৎসব করছে। সেই দিনে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগ নিজেরা নিজেরা মারামারি করছে। আজকের এই ঘটনার জন্য সারা দেশে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। এই ঘটনায় চিকিৎসকদের ২টি পক্ষের ইন্দন রয়েছে। তিনি হুশিয়ার করে দেন, ছাত্রলীগ নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করতে চাইলে তাদের উচিৎ জাবাব দেয়া হবে।