পর্যটকদের স্বপ্নের দ্বীপ পরিদর্শনে দেখা মিললনা সৈকত পুলিশের। দেখা গেলনা বীচ ব্যবস্থাপনার কোন কর্মিদেরকে। অনবরত গোসলে নামছে পর্যটকগণ। দক্ষিণ পাড়া সী-বীচ হয়ে উত্তরপাড়া পর্যন্ত হেটে দেখা গেল বীচে দুটো লাল পতাকা। তাও জোয়ারের সময়। যে সময়ে সবুজ পতাকা থাকার কথা।
স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলে
জানা যায়, গুটি কয়েকজন বীচ-ব্যবস্থাপনার কর্মি নামধারী মাঝে মধ্যে কয়েকটি পতাকা বীচে উত্তোলন করলেও অনেক সময় তা নামিয়ে ফেলে সন্ধ্যায়। আবার কোন কোন সময়ে ২/৩দিন পরে পরিবর্তন করে। যা আগত পর্যটকগণ পতাকার সংকেত সম্বন্ধে কিছুই জানে না। গত বছর পর্যটক মৌসুমে জোয়ার ভাটার কোন সংকেত না থাকায় দ্বীপে ভ্রমণে আসা বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ৭জন ছাত্র সাগরে গোসল করতে নেমে সলিল সমাধি ঘটেছিল। তৎমধ্যে এখনো পর্যন্ত ২জনের লাশ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার পর দেশ ব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। প্রশাসন হয়েছিল সোচ্চার। বীচ ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়োগ দিয়েছিল কর্মি। প্রশাসন শুনিয়েছিলেন আসার বাণী। দেওয়া হবে সৈকত পুলিশ। হোটেল মোটেল মালিকদেরকে আগত পর্যটকদেরকে আগাম সমুদ্রে গোসলের স্থান, নিয়ম-কানুন জানিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘটনার পরিসমাপ্তি ঘটলে সকল আয়োজন শেষ হয়ে যায়। নির্দেশিত কোন কিছুর চিহ্ন পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে নেই বলে পর্যটকগণ জানান। এদিকে কয়েকজন জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে পর্যটকবাহী জাহাজে যাত্রীদের টিকেট হতে প্রতি পর্যটকের কাছ থেকে বীচ ব্যবস্থাপনার কর্মিদের বেতনের জন্য ২০টাকা করে কেটে নেওয়া হচ্ছে। কতিপয় ব্যক্তি টোল আদায়ের সময় ঐ টাকা যোগ করে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ টাকা নিয়ে গেলে কিন্তু বীচ ব্যবস্থাপনার কোন কর্মি সেন্টমার্টিন সী-বীচে নেই। ফলে প্রতিদিন আগত পর্যটকেরা প্রতিনিয়ত সাগরে গোসল করছে। তারা জানেনা কখন জোয়ার কখন ভাটা। কখন যে, তাদের উপর বিপদ নেমে আসবে তাও জানেনা। দেশের অন্যান্য বীচের মত বীচ ব্যবস্থাপনার কর্মি থাকলে লাল পতাকা সবুজ পতাকা ও হ্যান্ডমাইক যোগে বলে দিত কখন গোসল করা যাবে কখন যাবে না। এ বিষয়ে সেন্টমার্টিন কোষ্টগার্ড ইনচার্জ লেঃ ডিকসন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে খতিয়ে দেখবে বলে জানায়।