ফাল্গুনের প্রথম দিন ফুল ফুটুন কিংবা না ফুটুক যেমন এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। তেমন ফাল্গুনের দ্বিতীয় দিন ভালোবাসার। আর এ বসন্ত ও ভালোবাসার রঙের ছোঁয়া লেগেছে পর্যটন শহর কক্সবাজারেও।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের এর ছোঁয়ায় যেন উচ্ছ্বাস ও আবেগের। সৈকতের বালিতেও যেন লেগেছে এর চিহ্ন। একদিকে তেমন বিপুল সংখ্যক পর্যটক অন্য দিকে তেমনটি স্থানীয়দের ভীড়। দুই মিলে শনিবার দিনব্যাপী অন্য রকম আবহের সৈকত ছিল কক্সবাজার।
শনিবার বিকালে সমুদ্র সৈকতে কথা হয় ঢাকা থেকে আগত এক নব দম্পত্তির সাথে। তারা জানান, বিয়ের পর প্রথম কক্সবাজার আসা। সমুদ্রের ঢেউ প্রকৃতির সাথে মিলে বিয়ের প্রথম ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবেস স্মরণীয় করতে রাখতে তাদের এ ভ্রমণ।
আর সমুদ্রের ঢেউকে ভালোবাসার অন্য এক নিদর্শন মনে করেন কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে আসা রফিকুল বারী ও নাসরিন সুলতানা জুটি। তাদের মতে, ঢেউকে স্বাক্ষী রেখে যেন ভালোবাসা ও ফাল্গুন এনে দেয় উজ্জ্বলতা তাই তারা স্ব পরিবারে ভ্রমণে এসেছেন। পরিবারের প্রতি যেন ভালোবাসা বিকাশ করতে পারেন তারা।
ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে আসা ব্যবসায়ী খোকন জানান, পরিবারে সবাইকে নিয়ে কক্সবাজার এসেছেন বিশেষ দিনটি পালনের জন্য। বিশেষ দিনে বিশেষ এলাকা অন্যরকম।
কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর মতে শুক্র শনি দুই দিন ছুটি তার উপর ভালবাসা দিবস। আর এ কারনেই কক্সবাজারে নেমেছে পর্যটকের ঢল। পাশাপাশি দল বেঁধে সৈকতে আসছেন শহর এবং এর আশেপাশের বাসিন্দারাও। পর্যটন এলাকায় নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ট্যুারিষ্ট পুলিশের পাশা পাশি জেলা পুলিশ ও দায়িত্ব পালন করছে।