জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেশের ১৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান ২০১৬ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি হলো বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ব্যক্তিদের মধ্যে সরকারের দুজন মন্ত্রীও রয়েছেন।
আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানানো হয়। ১০ মার্চ ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিরা হলেন: স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশকারী ও প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সংগঠক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ১৯৭১ সালে ভারতের মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ ক্যাম্প, অপারেশন ক্যাম্প ও শরণার্থী ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনকারী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহাঃ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক। সফল রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মৌলভি আচমত আলী খান, সুপারসনিক এয়ার ক্রাফট এফ-৬ এর সফল পাইলট ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনকারী স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) বদরুল আলম বীর উত্তম। ১৯৭১ সালে রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণ প্রতিরোধে পুলিশ বাহিনীকে সংগঠিত করার কাজে নেতৃত্বদানকারী শহীদ শাহ আবদুল মজিদ। রাঙামাটিতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে নেতৃত্বদানের জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে শাহাদত বরণকারী রাঙামাটির তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক এম আবদুল বারী। ১৯৭১ সালে লন্ডনে পাকিস্তান হাইকমিশনে কর্মরত থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশকারী ও বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান স্বহস্তে লেখক এ কে এম আবদুর রউফ। ১৯৭১ সালে দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনে কর্মরত থাকাকালে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশকারী ও দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রথম মিশন স্থাপনকারী কে এম শিহাব উদ্দিন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীনতার সপক্ষে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনকারী সৈয়দ হাসান ইমাম।
একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালাম।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে স্বনামধন্য কৃষি গবেষক এবং তোষা পাট ও দেশি পাটের জীবনরহস্য উন্মোচনকারী বিজ্ঞানী অধ্যাপক মাকসুদুল আলম। চিকিৎসাবিদ্যায় প্রথিতযশা শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোহাম্মদ রফি খান (এম আর খান)। সংস্কৃতি ক্ষেত্রে স্বনামধন্য রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী ও রবীন্দ্রসংগীত গবেষক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
এ ছাড়া জনসেবার ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান এবং দেশের জলসীমায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দায়িত্ব পালনরত বাংলাদেশ নৌবাহিনী।