টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউপি নির্বাচন ২২ মার্চ অনুষ্টিত করতে আপিল বিভাগের দেয়া রায়ের কপি এখন জেলা নির্বাচন অফিসে। রোববার এ রায়ের কপি জেলা নির্বাচন অফিসে এসে পৌঁছায় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসার মেছবাহ উদ্দিন।
তিনি বলেন, হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউপি নির্বাচনে আর কোন আইনী বাধা নেই। তার আগে মনোনয় প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তবে আগামী ২২ মার্চ নির্বাচন হবে নাকি দু একদিন পরে করা হবে তা ঢাকা অফিসের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
সূত্র মতে, আইন অনুযায়ী আগামী ২২ মার্চই হ্নীলা ও হোয়াইক্য ইউপি নির্বাচন অনুষ্টিত হতে হবে। অন্যথায় আপিল বিভাগের রায়কে অগ্রাহ্যের সামিল। উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউপি নির্বাচনের উপর হাইকোর্টের দেয়া নিষেধাজ্ঞা চার সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেন আপিল বিভাগ। হ্নীলা ইউপি প্রার্থী এইচ কে আনোয়ার ও হোয়াইক্যং ইউপির মেম্বার প্রার্থী শাহাআলমের পক্ষে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন এডভোকেট শ.ম রেজাউল করিমের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের বিচারক মির্জা হোসাইন হায়দা, হাশেম ফয়েজ ছিদ্দিকি ও নাজমুল হক নাছিমের বিচারিক বেঞ্চে এই রায় দেন। যার পিটিশন নং ২৮৪/২০১৬।
কিন্তু আপীল রায়ের কপি বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন কমিশনের সচিবের কাছে পৌঁছালেও আপিল বিভাগের অর্ডার কপি যায়নি কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিসে। যার কারণে হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউপি নির্বাচন আগামী ২২ মার্চ যথাসময়ে অনুষ্টিত করতে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিলেন কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মেছবাহ উদ্দিন। তিনি বলেছেন, অফিসিয়ালী আপিল নির্বাচন অনুষ্টিত করার আপিল বিভাগের অর্ডার কপি হাতে আসলে পরবর্তীতে হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউপি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
কিন্তু আবেদনকারীর পক্ষের এডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম প্রবাল নিউজকে বলেন, বিধান রয়েছে আপিল বিভাগের রায়ের কপি নির্বাচনের আগে পৌঁছলেই যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্টিত করতে হবে। নির্বাচন অফিসার এবং এবং এডভোকেটের দুই ধরণের ব্যাখ্যায় হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ভোটারদেও মাঝে বিরাজ করছিলো হতাশাও দ্বিধাদ্বন্দ্ব।