অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার এ দিন ঠিক করেছেন।মামলাটিতে আজ আরো দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। সাক্ষীরা হলেন- কক্সবাজার জেলার টেকনাফের এবি ব্যাংকের ম্যানেজার নুরুল হোসেন এবং কক্সবাজার জেলার ঝিলংজা শাখার মার্কেন্টাইল ব্যাংকের অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজার পরিতোষ কুমার ধর। এ দুই সাক্ষীর মধ্যে প্রথমজনের সাক্ষ্য সম্পন্ন শেষ হলেও দ্বিতীয়জনের আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। সাক্ষ্য গ্রহণকালে আসামি বদি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলাটিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২০১৪ সালের ২১ আগস্ট এমপি বদির বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সোবহানের দায়ের করা ওই মামলায় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামার বাইরে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা অবৈধ সম্পদ থাকা, সম্পদ ৩৫১ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার অভিযোগ করা হয়। পাঁচ বছরে তার আয় ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ টাকা বৃদ্ধি পায়। হলফনামা অনুসারে তার বার্ষিক আয় ছিল ৭ কোটি ৩৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৮ টাকা। আর বার্ষিক ব্যয় ছিল ২ কোটি ৮১ লাখ ২৯ হাজার ৯২৮ টাকা।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ১০ হাজার ৪৮০ টাকা। ব্যয় ছিল ২ লাখ ১৮ হাজার ৭২৮ টাকা। ওই সময় বিভিন্ন ব্যাংকে তার মোট জমা ও সঞ্চয়ী আমানত ছিল ৯১ হাজার ৯৮ টাকা।
গত বছর ৭ মে দুদকের উপপরিচালক মঞ্জিল মোর্শেদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটিতে তিনি গত বছর ১২ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। পরবর্তী সময়ে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।