নববর্ষ উদ্যাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে কক্সবাজারের আদিবাসী রাখাইনপল্লিতে। শহরের টেকপাড়া, রাখাইনপল্লি, বৌদ্ধমন্দির সড়ক, বড়বাজার, মহেশখালী, টেকনাফ, চকরিয়া, হারবাং, রামু, চৌফলদন্ডীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে প্যান্ডেল তৈরির কাজ চলছে।
এখানে ১৭ এপ্রিল থেকে মহাধুমধামে পালিত হবে তিন দিনব্যাপী এই ‘সাইগ্রাং’ উৎসব। সাজানো প্যান্ডেলে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে তরুণ-তরুণীরা মেতে ওঠেন উৎসবে। তাঁরা একে অপরকে মঙ্গলজল ছিটিয়ে স্বাগত জানান নতুন বছরকে। দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা প্যান্ডেল ঘুরে রাখাইনদের বর্ষবরণ ও বিদায়ের এই জলকেলি উৎসব উপভোগ করেন।
রাখাইন বুড্ডিষ্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মং ক্য রাখাইন জানান, গত বছরের মতো এবারও শহরের ৮টি প্যান্ডেলে এবং টেকনাফ, উখিয়া, মহেশখালী, রামু, চৌফলদন্ডী, চকরিয়া, হারবাংসহ জেলার বিভিন্ন স্থানের অন্তত ৪০টি প্যান্ডেলে জলকেলি উৎসব চলবে। জলকেলি ছাড়াও উৎসবের প্রথম দিন সড়কে শোভাযাত্রা এবং সমাপনী দিনে বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে সমবেত প্রার্থনার মাধ্যমে রাখাইনরা সবার মঙ্গল কামনা করবেন।
রাখাইন তরুণী উ চিং থেন বলেন, আমরা এই উৎসবের জন্য অপেক্ষায় থাকি। ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সেজে জল ছিটিয়ে পুরোনো বছরের সব গ্লানি ভুলে নতুন বছরকে বরণ করে নিই। সবার জন্য সুন্দর ও মঙ্গলময় জীবন কামনা করি। শিশু-কিশোরেরা, ঢাকঢোল পিটিয়ে নেচে গেয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে।
কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্যাথিং অং জানান, রাখাইন অব্দের ১৩৭৬ সালকে বিদায় এবং নতুন ১৩৭৭ বছরকে বরণ করে নিতেই মূলত এই ‘সাংগ্রাং’ পোয়ে উৎসব। এ উৎসবে রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজনের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভিড় করে। তাই এবারের ‘সাংগ্রাং’ পোয়ে উৎসব বড় পরিসরে আয়োজন করা হবে।