অনুমোদন পেয়েছে দেশের ১৭টি জেলায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয় নির্মাণের একটি প্রকল্প। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই অনুমোদন পায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক সভায় ১০৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় পাসপোর্ট সেবা পৌঁছে দিতেই সরকার প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছে। সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে চলতি অর্থবছরে প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে; শেষ হবে ২০১৯ সালের মধ্যে।
রাজধানীর প্রধান কার্যালয়ের উপর চাপ কমাতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মোট ৬৭টি পাসপোর্ট কার্যালয় নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ৫১টি কার্যালয় নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
মঙ্গলবার অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পের অধীনে যেসব জেলায় পাসপোর্ট কার্যালয় নির্মাণ করা হবে সেগুলো হচ্ছে- লক্ষ্মীপুর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, জামালপুর, নেত্রকোনা, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ি, চাপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, সুনামগঞ্জ, মাগুরা, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও ভোলা।
এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে নোয়াখালী, কুমিল্লা, যশোর ও চট্টগ্রামের মনসুরাবাদে বিভাগীয় পাসপোর্টসহ ভিসা কার্যালয় ৪টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে গোপালগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ফরিদপুর ও রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকায় বিভাগীয় পাসপোর্টসহ ভিসা কার্যালয় অফিস নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে ১৯টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের মধ্যে ১২টির কাজ হয়েছে, সাতটির কাজ চলছে।
বাকি ৩৩টির মধ্যে অপেক্ষাকৃত গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি জেলায় পাসপোর্ট কার্যালয় নির্মাণের প্রকল্প মঙ্গলবার অনুমোদন পেল। সভায় ৫ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ৭টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। এর মধ্যে ২ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা সরকারে তহবিল থেকে, ২ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা থেকে এবং সিলেটের বিদ্যুৎ সম্প্রসাণের একটি প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট সংস্থা যোগান দেবে ১০ কোটি টাকা।
অন্য প্রকল্পগুলো হলো- একহাজার ৪১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট বিভাগ পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্য়ক্রম সম্প্রসারণ এবং বিআরইবির সদর দপ্তরের ভৌত সুবিধাদির উন্নয়ন, ৩০৪ কোটি টাকায় ‘প্রো-পোওর স্লাম ইন্টিগ্রেশন প্রজেক্ট’ (পিপিএসআইপি), ১৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে মংলা বন্দর থেকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত পশুর চ্যানেলে ক্যাপিটাল ড্রেজিং।
২০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন থেকে ভোলা জেলার চরফ্যাশন পৌর শহর সংরক্ষণ, ১২২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ স্কাউটিং সম্প্রসারণ ও স্কাউট শতাব্দি ভবন নির্মাণ এবং ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা হবে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্ট (সেকোয়েপ)।