কক্সবাজার রিপোর্ট :
দোহাজারি-কক্সবাজার-রামু-মায়ানমার রেল লাইন নির্মাণে ব্যয় হবে ১৩ হাজার ২৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। চলতি বছরেই শেষ হবে ভূমি অধিগ্রহণ এবং রেল লাইনের স্থানসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের জরীপ কাজ । আর রেললাইনের পুরো কাজ শেষ হতে লাগবে ৩ বৎসর।
কক্সবাজারের ব্যবসায়ী মহল এবং সুশীল সমাজের সাথে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে রেলওয়ে অপারেশন স্পেশালিষ্ট এস. কে হাবিব উল্লাহ এসব কথা বলেন।
কক্সবাজার চেম্বার অব কর্মাস কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার কক্সবাজার নিয়ে মহা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এ মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবেই নির্মিত হচ্ছে রেললাইন। যার কাজ শুরু হবে ২০১৭ সালের মধ্যে। আর এডিবির অর্থায়নে রেল লাইনের কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের মধ্যে। রেলওয়ে অপারেশন স্পেশালিষ্ট আরো বলেন, কক্সবাজারের রেল স্টেশনটি হবে বিশ্বমানের, যেখানে থাকবে দেশী বিদেশী পর্যটকদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ সুবিধা থাকবে। রেলপথটি ডুয়েল গেজ ট্রাকে নির্মাণ করা হবে মালামাল পরিবহনের জন্য সংযোগ করা হবে ৫৬ মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন পরিবহন ওয়াগন।
দোহাজারি থেকে কক্সবাজার ১০১ কিলোমিটার দীর্ঘ আধুনিক রেলের গতিবেগ হবে ৮০-১০০ কিলোমিটার।
তিনি আরো বলেন, দু দফা রেল লাইনের নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে। প্রথম দফায় দোহাজারি -কক্সবাজার রেল লাইন নির্মিত হবে। দ্বিতীয় দফায় রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেল লাইন হবে।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে ট্রেক ইঞ্জিনিয়ার মো: সিরাজ উদ্দীন, কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী’র সহ-সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠ,ু পরিচালক দিপঙ্কর বড়–য়া, রবিন্দ্র বিজয় বড়–য়া, এ কে এম মাহতাবুল ইসলাম, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন সাংবাদিক প্রিয়তোষ পাল পিন্টু, ইঞ্জিনিয়ার কানন পাল, সাংবাদিক এডভোকেট আয়াছুর রহমান, সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী জিন্নাত, অধ্যাপক অজিত দাশ প্রমুখ অন্যান্য ব্যবসায়ী মহলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।