1. arif.arman@gmail.com : Daily Coxsbazar : Daily Coxsbazar
  2. dailycoxsbazar@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  3. litonsaikat@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  4. shakil.cox@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  5. info@dailycoxsbazar.com : ডেইলি কক্সবাজার : Daily ডেইলি কক্সবাজার
"জেট স্কি" সমুদ্র স্নানে প্রাণহানির ঝুঁকি - Daily Cox's Bazar News
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
ডেইলি কক্সবাজারে আপনার স্বাগতম। প্রতি মূহুর্তের খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
সংবাদ শিরোনাম ::
কট্টরপন্থী ইসলামী দল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ: এসএডিএফ কক্সবাজারের আট তরুণ তরুণীকে ‘অদম্য তারূণ্য’ সম্মাননা জানাবে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি Job opportunity বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়না, নাকি স্বপ্নের দেশ! আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধের আহ্বান আরব লীগের পেকুয়ায় পুলিশের অভিযানে ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার-১ পেকুয়ায় অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল : অস্ত্রসহ আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন টেকনাফে একটি পোপা মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা ! কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-১ নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা

“জেট স্কি” সমুদ্র স্নানে প্রাণহানির ঝুঁকি

ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ৫৮৯ বার পড়া হয়েছে

সমুদ্রসৈকতে জেট স্কি চলাচলের জন্য নির্ধারিত ‘সীমানা’ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। পর্যটকদের স্নানের জায়গায় জেট স্কি’র বেপরোয়া বিচরণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। এমনকি প্রাণহানিও হচ্ছে। কিন্তু ‘নিয়ম’ বাস্তবায়নে প্রশাসন উদাসীন হওয়ায় প্রতিদিন প্রাণহানির ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রে গোসল করে হাজার হাজার পর্যটকেরা।

জেলা প্রশাসন ও বীচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটি সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে জেট স্কি চলাচলের জন্য নির্ধারিত সীমানা রয়েছে। সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত জেট স্কি’র জন্য নির্ধারিত স্থান।

নির্ধারিত সীমানার দু’পাশে বালিয়াড়িতে নির্দেশাবলী উল্লেখ করে সাইনবোর্ডও টাঙিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু জেট স্কি চালকেরা এসব নিয়ম পরোয়া করে না। সুইমিংজোনে অর্থাৎ গোসল বা সাঁতারের জন্য নির্ধারিত স্থানে বেপরোয়াভাবে জেট স্কি চলায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য নির্ধারিত সুইমিং জোন। জোয়ার-ভাটায় তুলনামূলক কম ক্যানেল (খাল) সৃষ্টি হওয়ায় এই স্থানটি গোসলের জন্য নিরাপদ। কিন্তু সেই নিরাপদ স্থানকে অনিরাপদ করে তুলেছে জেট স্কিগুলো।

জেট স্কি চলাচলের জন্য সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে দক্ষিণ দিকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত নির্ধারিত হলেও জেট স্কি চালকেরা উল্টো নিয়ম পালন করে। তাদের জন্য নির্ধারিত স্থানে না চালিয়ে নিষেধাজ্ঞার স্থানে জেট স্কি চালায়। এখন সুগন্ধা পয়েন্টের উত্তর দিকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত চলাচল করে জেট স্কিগুলো।

জানা যায়, পর্যটকদের গোসলের স্থানে জেট স্কি চালানোর কারণে সমুদ্র সৈকতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে। শুধুমাত্র চলতি বছরেই প্রায় অর্ধ শতাধিক পর্যটক আহত হয়েছে। এরমধ্যে অনেকে গুরুতর আহতও হয়েছে। কয়েক বছর আগে গোসলরত এক পর্যটকের প্রাণ কেড়ে নেয় বেপরোয়া জেট স্কি। ওই জেট স্কি’র মালিক কিটকট ব্যবসায়ী আহসান উল্লাহ’র ভাই ফরিদ।

একের পর এক দুর্ঘটনার কারণে জেট স্কি চলাচলের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এসব নিয়ম মানছে না জেট স্কি চালক-মালিকেরা। গত কয়েক মাস ধরে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তারা।

সরেজমিনে শনিবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতে গিয়ে দেখা যায়, নির্ধারিত সীমানা ফেলে জেট স্কিগুলো চলাচল করছে সুগন্ধা থেকে লাবণী পয়েন্টের মধ্যে। গোসলরত অবস্থায় হঠাৎ দ্রুতগামী জেট স্কি গায়ের পাশ দিয়ে চলাচল করায় আঁতকে উঠে পর্যটকেরা। এক প্রকার দুর্ঘটনা আতঙ্ক নিয়ে গোসল করছে পর্যটকেরা।

সীগাল পয়েন্টে গোসল করতে আসা কয়েকজন পর্যটক জানান, এখানে নিরাপদে গোসল করার কোন সুযোগ নেই। গোসল করার স্থানে জেট স্কিগুলো বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে। যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। হাজার হাজার পর্যটক জীবনের ঝুঁকিরোধে কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। জেট স্কিগুলোকে নিয়ম মানতে বাধ্য করতেও প্রশাসনের কাউকে দেখিনি।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বীচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটির অনুমোদিত জেট স্কি রয়েছে ১৯টি। এরমধ্যে বর্তমানে চলাচল করে ১৭টি। ৭ নং জেট স্কি’র ম্যানেজার নুরুল ইসলামের সাথে কথা হয়। ওই জেট স্কি’র মালিক হলেন মিলন নামে এক ব্যক্তি। নুরুল ইসলাম জানান, নিয়ম থাকলেও এসব কেউ মানে না। এখন তারা সবাই সুগন্ধা থেকে লাবণী পয়েন্টের মধ্যে চলাচল করে। প্রশাসন কোন সময় বাঁধা দেয় না।

তিনি আরও জানান, সুগন্ধা থেকে সীগাল পয়েন্ট পর্যন্ত ঘুরে আসা জনপ্রতি ২০০ টাকা আর সুগন্ধা থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত ঘুরে আসা ৫০০ টাকা। এছাড়াও নীল পানি থেকে ঘুরে আসা জনপ্রতি ৫০০ টাকা ভাড়া আদায় করা হয়।

অভিযোগ আছে, প্রশাসন ‘নিয়ম’ বাস্তবায়নে একেবারেই উদাসীন। এই সুযোগে বীচকর্মীরা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে আরও গতিহীন করে তুলেছে জেট স্কিগুলো। ট্যুরিস্ট পুলিশেরও কিছু কিছু সদস্যের বিরুদ্ধেও জেট স্কি থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ আছে।

কয়েকজন জেট স্কি চালক ও শ্রমিকেরা জানান, বীচকর্মীরা প্রতিটি জেট স্কি থেকে প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে ২’শ টাকা করে আদায় করে। প্রতিদিন জেট স্কি থেকে অবৈধভাবে বীচকর্মীদের আয় হয় সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। অবৈধ উৎকোচ আদায়ের কারণে নিয়ম না মানতে দেখেও না দেখার ভান করে থাকে বীচকর্মীরা। এমনকি পর্যটকেরা অভিযোগ দিলেও বীচকর্মীরা সেই অভিযোগে কোন সাড়া দেন না।

নিয়ম ভেঙে পর্যটকদের গোসলের স্থানে জেট স্কি চলে কি না জানতে চাইলে বীচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটির নিয়োগকৃত বীচকর্মীদের ইনচার্জ বেলাল বলেন, আমি যখন বীচে আসি, তখন এসব দেখি না। থাকলে হয়ত কেউ চুরি করে সীমানা ক্রস করে। আপনি (প্রতিবেদক) কিভাবে দেখেছেন আমি জানি না।

বীচকর্মীদের উৎকোচ আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বেলাল বলেন, এই ধরণের কোন তথ্য আমার জানা নেই। কেউ এ ধরণের অভিযোগ করলে ডকুমেন্ট দেখাতে হবে। তাছাড়া আমি ডিউটি করি না, টহল দিয়ে বীচকর্মীদের ডিউটি তদারকি করি। আপনি (প্রতিবেদক) স্যারের সাথে কথা বলেন।

জেট স্কি মালিক সমিতির সভাপতি জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে নির্ধারিত সীমানার বাইরে গিয়ে জেট স্কি চালানোর পক্ষে নয়। কারণ অতীতে পর্যটকদের গোসলের স্থানে জেট স্কি চালাতে গিয়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটেছিল। যারা নিয়ম ভঙ্গ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে আমি।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার ফখরুল ইসলাম বলেন, জেট স্কি’র জন্য জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছে বীচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটি। এসব তারাই তদারকি করে থাকে। তারপরও সীমানা ক্রস করে পর্যটকদের গোসলের স্থানে চলে না আসার জন্য জেট স্কি চালকদের সচেতন করার চেষ্টা করে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

এ বিষয়ে নতে চাইলে জেলা প্রশাসনের পর্যটন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম সরওয়ার কামাল বলেন, জেট স্কি চলাচলের জন্য নির্ধারিত স্থান হলো সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য নির্ধারিত স্থানের মধ্যেই জেট স্কি চলাচল করবে। এর বাইরে গিয়ে পর্যটকদের গোসলের স্থানে চলাচলের কথা না। যদি চলে থাকে, তাহলে বীচকর্মীদের কাজটা কি সৈকতে?

তিনি আরও বলেন, জেট স্কি সঠিকভাবে নিয়ম মানছে কি মানছে না, এসব তদারকির দায়িত্ব বীচকর্মীদের। যদি কোন ধরণের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ এবং অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার প্রমাণ পায় তাহলে জড়িত বীচকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ পর্যটকদের গোসল করার স্থানে জেট স্কি চললে যেকোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।

শেয়ার করুন

One thought on "“জেট স্কি” সমুদ্র স্নানে প্রাণহানির ঝুঁকি"

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2020 Dailycoxsbazar
Theme Customized BY Media Text Communications