টেকনাফ থেকে তছলিমা আকতার নিশী :
টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বাজার ইজারাদার আমজাদ হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
গত জুন মাসে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে উপজেলা চেয়ারম্যান তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের নিকট সুপারিশ করা হলেও এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিযোগে জানাযায়, বাহারছড়া ইউনিয়ন, টেকনাফ উপজেলার প্রশাসন থেকে ৩০কিঃ মিঃ উত্তরে এবং সাগর ও পাহাড়ী উপকূলীয় স্থানে শামলাপুর বাজারে অবস্থান। প্রায় মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে। আয়ের উৎস তেমন নেই। অনেকেই সুপারী চাষ, মাছ শিকার, কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। বাহারছড়া ইউনিয়নের সর্ববহৎ বাজার হচ্ছে, শামলাপুর বাজার। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের জন্য শামলাপুর বাজার লীজ নেয় স্থানীয় শামলাপুর পুরান পাড়ার সাবেক মেম্বার মোঃ ইসলামের ছেলে আমজাদ হোসেন প্রকাশ খোকন।
সরকারী নিদেশিত ইজারার শর্ত ভঙ্গ এবং সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ইজারার নামে মুরগি বিক্রেতা থেকে শুরু করে সব ধরনের পন্য বিক্রেতাদের উপর চালাচ্ছে গলাকাটা বাণিজ্য। কি ধরনের পণ্য থেকে কি পরিমান বিক্রেতার কাছ থেকে ইজারা আদায় করবে, তার কোন বাজারে দৃশ্যমান সাইন বোর্ড নেই। ফলে সে এখানে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে ইচ্ছামাফিক টোল ( হাসিল) আদায় করছে। নিয়মানুযায়ী রসিদ মূলে ইজারা নেয়ার বিধানন থাকলে ও এ বিধান কোন মতেই মানছেন না ইজারাদার খোকন। যেমন একটি গবাদি পশু থেকে ২শত টাকা ছাগল থেকে ১শত টাকা, মোরগ থেকে ৫০ টাকা। সুপারী ব্যবসায়ি থেকে ১ খন এর উপর ২ শ টাকা , এছাড়া কৃষিজাত পণ্য থেকে এভাবে টোল আদায় করছে। প্রতিদিনই টোল নিয়ে বাজার ইজারাদার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাকবিতন্ডা চলেই আসছে। এনিয়ে হয়তো ভবিষ্যতে স্থানীয় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি হবার ও আশংকা করছেন অনেকেই।
অভিযোগে আরো প্রকাশ, গত জুন মাসে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাওঃ আজিজ উদ্দীন,মেম্বার হাফেজ আহমদ,হুমায়ুন কাদের,মোঃ ইলিয়াছ,মোঃ ফরিদুল্লাহ,মোঃ ইউনুছ ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার,৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার, আনোয়ারা বেগম ও রহিমা আক্তার রোজি স্বাক্ষরিত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শামলাপুর ফাড়ির আইসিকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এব্যাপারে ইজারাদার খোকনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।