শনিবার (২২ মার্চ) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রথম কার্যনির্বাহী সভা। সভাকে সামনে রেখে সবার মধ্যে কাজ করছে নানা উৎসাহ-উদ্দীপনা। ইতোমধ্যে সভার সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। অপেক্ষা শেষে এবার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বরণ করতে পূর্ণাঙ্গরূপে প্রস্তুত ডাকসু। সভায় কুশল বিনিময়, আলাপ-আলোচনা, পরবর্তী কর্মপন্থা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনের সভাকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১১টায়। একই সময়ে আবাসিক হলগুলোর হল ইউনিয়ন রুমে হল সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভা থেকেই ডাকসু ও হল সংসদের আগামী এক বছর অর্থাৎ পরবর্তী ৩৬৫ দিন গণনা করা হবে। ইতোমধ্যেই ডাকসু ও হল সংসদের কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের মাধ্যমে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছে।
ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানীর মাধ্যমে বাকি ২৪ জনের কাছে সভায় অংশগ্রহণের চিঠি দেয়া হয়েছে। আর হল সংসগুলোতে তাদের জিএসের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। অভিষেক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ২৮ বছর পর ডাকসু ভবন যেন ফিরে পেয়েছে এক নতুন ছোঁয়া। নতুন অতিদের বরণ করে নিতে শুক্রবার চলেছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
সভাকে ঘিরে পুরোদমে হয়েছে কক্ষগুলোর সাজসজ্জার কাজ। ভিপি, জিএস, এজিএস, সম্পাদক এবং সদস্যদের কক্ষের সাজসজ্জা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে আবাসিক হলগুলোর হল ইউনিয়ন রুমগুলোও সাজানো হচ্ছে হল সংসদের সভার জন্য।
কর্তব্যরত এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার ডাকসুর নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে বরণ করে নিতে তাদের এই প্রস্তুতি। তিনি জানান, কর্তৃপক্ষ থেকে আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে আজকের (শুক্রবার) মধ্যেই কাজটি সম্পন্ন করতে হবে। তাই দ্রুত কাজটি করতে হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিদ ইমন রহমান বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন হয়েছে এবং আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকসুর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এটা সাধারণ শিক্ষার্থীর জায়গা থেকে আনন্দের বিষয়। শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া আদায়ের প্রথম পূর্ণাঙ্গ পদক্ষেপ। আমি মনে করি নির্বাচনী প্রচারণায় যে অঙ্গীকারগুলো বিভিন্ন পদপ্রার্থী তুলে ধরেছিলেন সেগুলো এখন বাস্তবায়ন করা এবং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক সকল চাহিদা পূরণ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় এর পরিবেশ সুন্দর ও শিক্ষাবান্ধব করে তোলাই হবে ডাকসুর নতুন করে পদচারণার বিষয়বস্তু।
ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত ডাকসু নিয়ে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তবে কারচুপির ভোটের মধ্য দিয়েও যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন তাদের মতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দায়িত্ব নিচ্ছি। তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যে অঙ্গীকারগুলো ছিলো বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
জিএস গোলাম রাব্বানী বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর বন্ধ থাকার পর আমরা ডাকসুর দায়িত্ব এসেছি। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। তবে আমরা চ্যালেঞ্জ নিতেই ভালোবাসি। শিক্ষার্থীদের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা হবে। আবাসন, শিক্ষা, গবেষণা, খাবারের মান, স্বাস্থ্যবীমা, শিক্ষাবীমাসহ যেসকল বিষয়গুলোতে ফোকাস করেছি সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করবো।