ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী।
চূড়ান্ত শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের আদেশে রায়ের জন্য মামলাটি অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন।
আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া, পারভেজ হোসেন ও এম. মাসুদ রানা।
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত তিন ভাই হলেন- হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মহিবুর রহমান বড় মিয়া, তার ছোট ভাই মুজিবুর রহমান আঙ্গুর মিয়া এবং তাদের চাচাত ভাই আব্দুর রাজ্জাক।
দুই ভাই মহিবুর ও মজিবুরের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল তদন্ত শেষ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা নূর হোসেন। এরপর ২৯ এপ্রিল তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করে তদন্ত সংস্থা।
এর আগে ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তদন্তের স্বার্থে মহিবুর রহমান বড় মিয়া ও মুজিবুর রহমান আঙ্গুর মিয়াকে গ্রেফতারের আবেদন জানান প্রসিকিউশন।
ওই আবেদনের শুনানি শেষে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-২।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর ওইদিনই হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ী এলাকা থেকে মহিবুর রহমান বড় মিয়া (৭০) ও তার ছোট ভাই মজিবুর রহমান আঙ্গুর মিয়াকে (৬৫) গ্রেফতার করে হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ।
১২ ফেব্রুয়ারি দুজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বড় ভাই মহিবুর সাবেক ও ছোট ভাই মজিবুর খাগাউড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান।
অন্যদিকে গত বছরের ১৭ মে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির দুইদিন পর মহিবুর-মুজিবুরের চাচাতো ভাই রাজ্জাককে মৌলভীবাজারের আথানগিরি পাহাড় থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ওইদিনই ট্রাইব্যুনালে তিনজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় প্রসিকিউশন।
আসামিদের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩১ মে চার অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর শুনানি শেষে ২৯ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এর আগে ২০০৯ সালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আকল মিয়ার স্ত্রী ভিংরাজ বিবি হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কগনিজেন্স-৪ এর বিচারক রাজীব কুমার বিশ্বাসের আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে মামলাটি (নং- ২৭০/০৯) করেন।
বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে বানিয়াচং থানা পুলিশকে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। পরে মামলাটি আদালত থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।