1. arif.arman@gmail.com : Daily Coxsbazar : Daily Coxsbazar
  2. dailycoxsbazar@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  3. litonsaikat@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  4. shakil.cox@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  5. info@dailycoxsbazar.com : ডেইলি কক্সবাজার : Daily ডেইলি কক্সবাজার
আমদানি হলেও বাজারে পৌঁছাচ্ছে না পেঁয়াজ - Daily Cox's Bazar News
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
ডেইলি কক্সবাজারে আপনার স্বাগতম। প্রতি মূহুর্তের খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
সংবাদ শিরোনাম ::
কট্টরপন্থী ইসলামী দল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ: এসএডিএফ কক্সবাজারের আট তরুণ তরুণীকে ‘অদম্য তারূণ্য’ সম্মাননা জানাবে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি Job opportunity বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়না, নাকি স্বপ্নের দেশ! আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধের আহ্বান আরব লীগের পেকুয়ায় পুলিশের অভিযানে ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার-১ পেকুয়ায় অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল : অস্ত্রসহ আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন টেকনাফে একটি পোপা মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা ! কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-১ নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা

আমদানি হলেও বাজারে পৌঁছাচ্ছে না পেঁয়াজ

ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৯ মে, ২০১৮
  • ১৯৮ বার পড়া হয়েছে

রমজান উপলক্ষে বেনাপোল ও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সরকারি শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়লেও বাজার নিয়ন্ত্রণে আসেনি। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৭ টাকা হয়েছে। আমদানিকারকরা দাম বাড়ার অজুহাত হিসেবে ট্রাক সংকট ও ট্রাকের ভাড়া এবং মহাসড়কে যানজট বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছেন। আর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দিশাহারা ক্রেতারা।গত এক সপ্তাহের এক পরিসংখানে দেখা যায়, শনিবার (১৯ মে) দুপুর পর্যন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত সাত দিনে ৩০৬টি ট্রাকে ১০২টি চালানে ১০ হাজার ৭৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। এ বন্দর দিয়ে আগে গড়ে প্রতিদিন ২০-২৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। বর্তমানে হচ্ছে ৬০-৭০ ট্রাক। তবে পণ্যবাহী ট্রাক না পাওয়ায় এবং ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা। ট্রাক সংকটের কারণে সময়মতো পেঁয়াজ সারাদেশে পাঠানো যাচ্ছে না। ফলে বন্দরেই পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, ঠিক সময়ে বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ করা গেলে দাম আরেকটু হয়তো কমত।

ভারত থেকে নাসিক, হাসখালি, বেলেডঙ্গা ও খড়কপুর জাতের পেঁয়াজ আমদানি হয়ে থাকে। এ দেশে নাসিকের পেঁয়াজের চাহিদা বেশি।এর আগে ১০ শতাংশ শুল্ক করে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হতো। তখন খুচরা বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি কিনতে হতো ক্রেতাদের। পেঁয়াজের বাজারমূল্য ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ১৬ সালের রোজার আগে সরকার পেঁয়াজের ওপর আমদানি শুল্ককর প্রত্যাহার করে।ভারত থেকে প্রতি টন পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে ২০৫ মার্কিন ডলার মূল্যে, যা বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়ায় ১৭ হাজার ১৫ টাকা। এতে কেজিপ্রতি আমদানি খরচ পড়ে প্রায় ১৮ টাকা। এলসিসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর পর্যন্ত পেঁয়াজ পৌঁছাতে খরচ পড়ে প্রতিকেজি ১৯ টাকা। আমদানি হওয়া পেঁয়াজ বন্দর থেকে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২৩ টাকা। আর খুরচা বাজারে তা ২৬ থেকে ২৭ টাকা।বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার সাইদ আহমেদ রুবেল জানান, পেঁয়াজের ওপর শুল্ককর না থাকায় রোজা উপলক্ষে আমদানি বেড়েছে। বন্দর থেকে দ্রুত পেঁয়াজ খালাসের জন্য অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বন্দর দিয়ে প্রতিদিন পেঁয়াজ, চাল, খৈল ও পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করা হয়। আমদানি করা এসব পণ্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাতে এবং আমদানিকারকদের নিজস্ব গুদামে নিতে প্রতিদিন ৪০০ ট্রাকের প্রয়োজন। বর্তমানে মিলছে ২০০-২৫০ ট্রাক। দেড়শর মতো ট্রাক সংকট থাকায় সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।বন্দর দিয়ে আগে গড়ে প্রতিদিন ২০-২৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। বর্তমানে হচ্ছে ৬০-৭০ ট্রাক। আমদানি বেশি হলেও পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রাক পাওয়া যাচ্ছে না। আবার যেসব ট্রাক পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে। প্রতিটি রুটেই ট্রাক ভাড়া ৬-৭ হাজার টাকা বেড়ে গেছে।হিলি স্থলবন্দরের ট্রাক বন্দোবস্তকারীরা জানান, বোরো ধানের মৌসুম হওয়ায় ট্রাকের চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে ট্রাকের কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। এ ছাড়াও বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে যানজট। আগে একটা ট্রিপ নিয়ে ঢাকায় গেলে দুই দিনের মধ্যে ঘুরে আসা যেত। যানজটের কারণে এখন তিন-চার দিনের মতো সময় লাগছে। এ কারণেও ট্রাকের সংকট এবং ভাড়া বেড়েছে। আর চট্টগ্রাম রুটের কথা তো বলাই যাবে না। ওই রুটে এত যানজট, যে কারণে চালকরা সেদিকে যেতেই চাইছে না। এ ছাড়া সড়কে পুলিশ ও শ্রমিকের চাঁদাবাজি তো রয়েছেই।পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবলু রহমান ও হারুন উর রশীদ হারুন জানান, ব্যাপকহারে পেঁয়াজ আমদানি হলেও তা পরিবহনের জন্য ট্রাক সংকট আছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা পেঁয়াজ পাঠাই। ট্রাক না পাওয়ায় তা করতে পারছি না। এ ছাড়া ভাড়াও বেড়েছে। আগে চট্টগ্রাম রুটে ট্রাক ভাড়া ছিল ২৮-৩০ হাজার টাকা। তা এখন বেড়ে ৩৬ হাজার টাকা হয়েছে। পেঁয়াজের দাম কমলেও ট্রাক ভাড়ার প্রভাব পড়ছে পেঁয়াজের ওপর। ট্রাক সংকটের কারণে মোকামে ঠিকমতো মাল লোড করতেও পারছি না।’তারা আরও জানান, সড়কে যানজটের কারণে অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে। আগে যেখানে ঢাকা-চট্টগ্রামে এক-দুই দিনে মাল পাঠানো যেত, এখন সেখানে তিন-চার দিন সময় লাগছে। ট্রাকের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে বাজারে পেঁয়াজের দাম আরেকটু কমত।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2020 Dailycoxsbazar
Theme Customized BY Media Text Communications