কক্সবাজার ডেস্ক :
উখিয়ায় অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে বন নিধন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয়কে কেন্দ্র করে নিয়মিত বিপুল পরিমাণে প্রাকৃতিক গাছ কাটছে একটি চক্র। রাতের অন্ধকারে স’মিলে এসব গাছ প্রক্রিয়াজাত করে পাচার করা হচ্ছে দেশ-বিদেশে।
এতে একদিকে ধ্বংস হচ্ছে প্রাকৃতিক বনাঞ্চল, অন্যদিকে অসাধু উপায়ে নিজেদের পকেট ভরাচ্ছে অসাধু কাঠ ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার থাইংখালী, কুতুপালং, কচুবনিয়া, বালুখালী, পালংখালী, ফলিয়াপাড়া, হাজির পাড়া, হরিণমারা, কোটবাজার, ঝাউতলা, ভালুকিয়া, মরিচ্যা, রুমখা বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অর্ধশতাধিক মিনি স’মিলে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট গাছ প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এসব গাছের বেশীরভাগই আসছে সরকারি বনাঞ্চল থেকে।
পরিবেশবিদরা বলছেন, যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় বনাঞ্চল নিধন রোধ করা যাচ্ছে না। সামাজিক সংগঠন কক্সবাজার সোসাইটিজে’র সভাপতি সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা আশ্রয়ের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই নানা অপকৌশলে বন নিধন করছে। এতে প্রকৃতির ভয়াবহ ক্ষতি হচ্ছে। যা আগামী ২০ বছরেও পূরণ হবে না।
পরিবেশবিদ ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, বন কর্মকর্তাদের উচিৎ পাহাড় কাটা, বালু তোলা, বনভূমি দখল, বন ধ্বংসের মতো অপকর্ম রোধে সোচ্চার হওয়া। তাহলে গত ১৭ মাসে যে ক্ষতি হয়েছে তা আরো কমিয়ে আনা যেত।
উখিয়ার ইউএনও মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, জীববৈচিত্র ও পরিবেশ রক্ষার্থে অবৈধ স’মিলগুলো আইনের আওতায় আনা হবে।