কক্সবাজার ডেস্ক :
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ ফরিদ উদ্দীন খন্দকার। গত বছর ফেব্রুয়ারীতে ওসি হিসেবে সদর থানায় যোগদান করেন এই চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা। যোগদানের পর তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামী গ্রেপ্তারে ভূমিকা রাখেন। তিনি যে কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। পর্যটন শহরকে নিরাপত্তার চাদরে আচ্ছাদিত করতে তারঁ টিমকে সাথে নিয়ে প্রাত্যহিক অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। সদর থানায় বিপদগ্রস্থ মানুষ যাতে তারঁ প্রাপ্য সেবা পায় সেজন্য তিনি সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন। কোন বিপদগ্রস্থ মানুষ যাতে পুলিশের দ্বারা কোন হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে ওসির রয়েছে বিশেষ সুদৃষ্টি। যে কোন ব্যক্তি ওসির কাছে গিয়ে , তার সমস্যা বললেই , সাথে সাথে তিনি তা সমাধান করার চেষ্টা করেন। কক্সবাজারে যেহেতু মাদকের ছড়াছড়ি বিদ্যমান , তিনি চেষ্টা করেন সদরের আওতাভুক্ত এলাকায় মাদক নির্মূল , আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক , অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে একটি সুন্দর ও নিরাপত্তার শহর উপহার দিতে।
তথ্য মতে, গত বছর ইয়াবা- ১১ লক্ষ দশ হাজার চারশো একচল্লিশ পিস, গাজাঁ ৪৭ হাজার ৩০০ কেজি, বিদেশী বিয়ার ১২ বোতল, রাম (বিদেশি মদ) ৪৬ বোতল, চোলাই মদ ১৭৮২ লিটার এবং ফেনসিডিল ৪৬ বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। এসব উদ্ধারকৃত মাদকের বিরুদ্ধে ৪৫৩ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৬১১ জন আসামীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
অপরদিকে, দেশীয় অস্ত্র এলজি ৫৯টি, শুটার গান ২টি, একনালা দেশিও বন্দুক ৯টি ,কার্তুজ ১৪১ রাউন্ড উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। অস্ত্র আইনে ৮৯ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০২ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। ২০১৭ সালের জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন মামলার ১৭৭০ জন আসামীকে গ্রেপ্তার হয়।
ওসি ফরিদ উদ্দীন খন্দকার বলেন, মানুষের সেবার মন মানসিকতা নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেছি। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে মানুষের কল্যাণমুখী কাজ করা আমার প্রথম উদ্দেশ্য। সদর মডেল থানায় অফিসার ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত অর্থাৎ মাদক, অস্ত্র ব্যবসায়ী, পলাতক, সাজাপ্রাপ্ত ও হত্যা মামলা সহ বিভিন্ন মামলার ১৭৭০ জন আসামী গ্রেফতার হয়।
চৌকস এই কর্মকর্তা আরো বলেন , সদর মডেল থানার টিমকে সাথে নিয়ে অব্যাহত অভিযান পরিচালনা করে সুন্দর সমাজ ও শহর উপহার দিতে আমার যাবতীয় শারীরিক ও মানসিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। কক্সবাজার জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইকবাল হোছাইন এর নির্দেশক্রমে কক্সবাজার শহরকে মাদক নির্মুলে যুগউপযোগী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রুপ দিতে আমি বদ্ধপরিকর। নিরাপদ শহর উপহার দিতে আমি আমার কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।