অনলাইন ডেস্ক : জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর সকল সংসদ সদস্যের জন্য সরকারি বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যদিও সেই বাসায় অধিকাংশই থাকেন না। অতীতের সবগুলো সংসদেই এমপিদের বরাদ্দকৃত বাসায় না থাকার অভিযোগ উঠেছে। এবারও যে সেই ধারাবাহিকতা হবে না সেটার নিশ্চয়তা পাওয়া মুশকিল।
সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও নাখালপাড়ায় এমপিদের জন্য বাসা বরাদ্দ হয়ে থাকে। বাসা বরাদ্দের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সংসদ কমিটির প্রথম বৈঠকেই। এখন চাহিদা অনুযায়ী সংসদ কমিটি বাসা বরাদ্দ দেবে।
সংসদ সদস্যদের অনুকূলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও নাখালপাড়াস্থ সংসদ সদস্য ভবনের ফ্ল্যাট বরাদ্দ প্রদানের জন্য চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে চার সদস্যের উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপ-কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন হুইপ ইকবালুর রহিম, কাজী ফিরোজ রশীদ ও ফজলে হোসেন বাদশা।
সাধারণ মানুষের ধারণা এমপিদের বাসা হবে বিলাসবহুল বা সৌন্দর্য্যে আচ্ছাদিত। অনেক সংসদ সদস্যেরই নিজ এলাকায় বিশাল বাগানবাড়ি বা বড় আয়তনের বাসা থাকলেও সরকারি বাসা অনেকটা ক্ষুদ্রাকৃতির হয়ে থাকে।
সংসদ সচিবালয় থেকে বরাদ্দকৃত এমপিদের বাসার আয়তন ১২৬০ বর্গফুট থেকে ১৮০০ বর্গফুটের। এক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা বিবেচনায় ও গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে বাসা বরাদ্দ হয়ে থাকে।
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের ৪, ৫ ও ৬ নং ভবনে ১৮০০ বর্গফুটের বাসা রয়েছে। আর ১, ২, ৩ নং ভবনে প্রতিটি বাসার আয়তন ১২৬০ বর্গফুট। নাখালপাড়াতেও একই আয়তনের বাসা রয়েছে।
এমপিদের বাসায় সরকারিভাবে থাকে তিন রুমের জন্য তিনটি খাট। এর মধ্যে একটি সেমি ডাবল খাট, তোষক, জাজিম, তিনটি সোফা সেট, একটি ছয় চেয়ারের ডাইনিং টেবিল, একটি শোকেজ, দরজা, জানালার জন্য পর্দা। এর বাইরে আর কিছু থাকে না।
২০০৪-০৫ অর্থবছরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নির্মিত ন্যাম ভবনে সেই পুরনো ফার্নিচার দিয়েই চলছে। গত দশম সংসদে কিছু বাসার ফার্নিচার পরিবর্তন করলেও বাকিগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী।
তবে এমপিরা চাইলে নিজেদের পছন্দের ফার্নিচার বা আসবাবপত্র ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে যখন তারা বাসা ছেড়ে দেবেন তখন সেগুলো নিয়ে যেতে পারবেন।
এমপিদের বাসা বরাদ্দ প্রসঙ্গে সংসদ সচিবালয়ের সহকারী সচিব আবদুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ন্যাম ভবনের বরাদ্দকৃত বাসার ফার্নিচার অনেক আগেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়েছে। এবার বাসায় উঠার পরই দাবি উঠবে সেগুলো পরিবর্তনের। সংসদ কমিটির কাছে দাবি উঠলে স্পিকার যেভাবে চাইবেন সেভাবে হবে।’