1. arif.arman@gmail.com : Daily Coxsbazar : Daily Coxsbazar
  2. dailycoxsbazar@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  3. litonsaikat@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  4. shakil.cox@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  5. info@dailycoxsbazar.com : ডেইলি কক্সবাজার : Daily ডেইলি কক্সবাজার
‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, এই প্রশ্নে কোনো আপস নেই’ - Daily Cox's Bazar News
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৬ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
ডেইলি কক্সবাজারে আপনার স্বাগতম। প্রতি মূহুর্তের খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
সংবাদ শিরোনাম ::
কট্টরপন্থী ইসলামী দল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ: এসএডিএফ কক্সবাজারের আট তরুণ তরুণীকে ‘অদম্য তারূণ্য’ সম্মাননা জানাবে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি Job opportunity বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়না, নাকি স্বপ্নের দেশ! আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধের আহ্বান আরব লীগের পেকুয়ায় পুলিশের অভিযানে ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার-১ পেকুয়ায় অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল : অস্ত্রসহ আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন টেকনাফে একটি পোপা মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা ! কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-১ নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা

‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, এই প্রশ্নে কোনো আপস নেই’

ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০১৯
  • ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : গণফোরামের মনোনয়ন ও ধানের শীষ নিয়ে জয়লাভ করা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেছেন, ‘এখানে (সংসদে) ৯৯ পার্সেন্ট হচ্ছে এক জোটে আর আমি অন্য জোট থেকে এসে রাজনীতি করছি। তবে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু এই প্রশ্নে কোনো আপস নেই। বাংলাদেশ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু এক নামে পরিচিত।’

শপথ গ্রহণের পর জাতীয় সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়ে ৭ই মার্চের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, ‘সংসদ নেত্রী বলেছেন জাতীয় ঐক্যের কথা। আজ সেই ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আজ ঐতিহাসিক দিবস অর্থাৎ ৭ই মার্চ। আজ থেকে ৪১ বছর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, গোপালগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জ নিয়ে সাড়ে ৬ কোটির মানুষের যে বাংলাদেশ সেই বাঙালিকে যিনি ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন তার নাম হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। সেদিনকার বঙ্গবন্ধু। সেই ৭ই মার্চ, আজকে আমি মহান জাতীয় সংসদে শপথ গ্রহণ করেছি। প্রথম দিনেই আমাকে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

সুলতান মনসুর বলেন, ‘এখানে যারা আছেন সকল সংসদ সদস্য, আমার শ্রদ্ধেয় নেতাও রয়েছেন, সহকর্মী আছেন। আমার কর্মীও আছেন। আমার ভাই বোনেরা আছেন। আমার নেত্রীও আছেন, অর্থাৎ সংসদ নেত্রী আছেন। যার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। তবে অপ্রিয় হলেও সত্য আজকে সংসদে যারা আছেন তারা এক জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। আমিই বোধহয় একজন নীলমনি যে বর্তমানে আপাতত জোটের বাইরে অন্য জোট থেকে নির্বাচিত হয়েছি। এবং শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমি সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মৌলভাবাজর-২ আসনের কুলাউড়া মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে এখানে এসেছি। সরকার প্রধান হিসেবে আজকে সংসদ নেত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে অন্তত আমার এলাকায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অন্য এলাকায় কি ঘটেছে জানি না। অন্যরা তাদের বিবেকের আদালতে তারাই বলতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘আজকে আমারও কিন্তু ওইখানে থাকার কথা ছিল। অর্থাৎ যদি ওই জোটের পক্ষ হয়ে রাজনীতি করতাম। আজ থেকে ১৮ বছর আগে এই সংসদে আমার আসার সুযোগ হয়েছিল। আপনি (স্পিকার) যে আসনে বসে আছেন ওই আসনে বসেছিলেন মরহুম আলহাজ্ব হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী। আর ছিলেন আজকের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সাহেব। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, রাজনীতির ছন্দপতনের কারণে হয়তো আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় আমি একটি রাজনৈতিক কারাগারের মধ্যে ছিলাম। গত ১৮ বছরে যদিও আমি এমপি ছিলাম না, বা এইখানে ছিলাম না তবে আমি রাজনৈতিকভাবে চিন্তার দিক দিয়ে নিষ্ক্রিয় ছিলাম না।’

সুলতান মনসুর বলেন, ‘আর যে বিশ্বাস নিয়ে আজ ৭ই মার্চ যাকে নিয়ে আলোচনা, ১৯৬৭-৬৮ সালে স্কুলে ছাত্র থাকা অবস্থায় যাকে ঘিরে, যার শ্লোগান দিয়ে রাজনীতি জীবন শুরু করেছিলাম- পদ্মা, মেঘনা, যমুনা- তোমার আমার ঠিকানা, জেলের তালা ভাঙবো শেখ মুজিবকে আনবো, মিথ্যা অসত্য ষড়যন্ত্রমূলক মামলা মানি না মানবো না। সেই জায়গা থেকে সেই বিশ্বাস থেকে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিচ্যুত হইনি। যদিও জোটগতভাবে বা রাজনৈতিকভাবে বর্তমানে হয়তো আমার নেতাদের সঙ্গে ওই জোটে নাই। কিন্তু আজ থেকে ৫২ বছর আগে যে বিশ্বাস নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছিলাম, সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকেই আমি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমে নির্বাচন করে আপনাদের সকলের দোয়াতে এই জাতীয় সংসদে এসেছি। তাই আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমার সংসদীয় আসন মৌলভীবাজার-কুলাউড়ার জনগণকে।’

ডাকসুর সাবেক ভিপি আরও বলেন, ‘মহাজোটের বিরোধী যারা ছিল তারাও আমাকে ভোট দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরা আমাকে ভোট দিয়ে সর্বস্তরের জনগণ আমাকে এখানে পাঠিয়েছে। কারণ, আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে। যাই হোক, আজকে সেই ৭ই মার্চে আামি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আমি নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি। আমি নিজেকে আজকে এইভাবে সম্মানীত বোধ করি-জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাঙ্গালীদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন সেই ৭ই মার্চে শপথ নিতে পেরেছি। অনেকের মনঃপুত বক্তব্য হয়তো আমি আজকে না রাখতে পারি তবে আশা করবো আপনার (স্পিকার) কাছে মহাজোটের বিরোধী একজন অন্য জোটের ব্যক্তি হয়ে যাতে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি, জনগণের কথা বলতে পারি, বাংলার মানুষের কথা বলতে পারি, সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলতে পারি। বঙ্গবন্ধু যে কথা বলেছেন যে জনগণই ক্ষমতার উৎস সেই জনগণের স্বার্থে কথা বলে যাতে সারাজীবন রাজনীতি করতে পারি সেই শেল্টার পাবো বলে আশা করি। সেই সহযোগিতা পাবো বলে আশা করি। এমনকি সংসদ নেত্রীও সেই বিষয়টি বিবেচনায় রাখবেন মনে করি।’

প্রায় সাড়ে ১১ মিনিটের বক্তব্য দেওয়ার পর জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলেই ব্ক্তব্য শেষ করেন তিনি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2020 Dailycoxsbazar
Theme Customized BY Media Text Communications