জেলার নিবন্ধিত অধিকাংশ জেলেই পেতে চলেছেন সরকারি সাহায্য। ঈদের আগেই এসব জেলে পরিবারের কাছে দেয়া হবে ৪০ কেজি করে চাল। বিশেষ ভিজিএফ’র আওতায় এই চাল বিতরণ করা হবে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
বর্তমানে কক্সবাজার জেলায় ৪৮ হাজার ৩৯৩ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। তাঁদের মধ্য থেকে ৪৬ হাজার ৮৭ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হবে ভিজিএফ’র চাল। চলতি বছরের ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ আহরণ বন্ধ উৎসাহিত করতেই
এই চাল বিতরণ করা হবে। ইতঃপূর্বে পরিবার প্রতি ৩০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়ার কথা থাকলেও জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের বিশেষ অনুরোধের প্রেক্ষিতেই চালের পরিমাণ ৪০ কেজি করা হয়েছে। নিবন্ধিত প্রকৃত জেলেদের বাইরে যাতে কেউ ত্রাণের চাল নিতে না পারে সেজন্যও নেয়া হচ্ছে বিশেষ সতকর্তামূলক ব্যবস্থা।
জানা গেছে, ঈদের আগে ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের চাল সহায়তা দিতে ইতোমধ্যে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় প্রায় সাড়ে ১৮’শ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। উল্লেখিত চালের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলার ৭ হাজার ৯০ জেলে পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে প্রায় ২৮৪ টন চাল। এছাড়াও মহেশখালী উপজেলার প্রায় সাড়ে এগার হাজার জেলে পরিবারের মাঝে প্রায় ৪৫৭ টন, চকরিয়া উপজেলার প্রায় সাড়ে ৩৮’শ জেলে পরিবারের মাঝে প্রায় ১৫৪ টন, পেকুয়া উপজেলার প্রায় ৪ হাজার জেলে পরিবারের মাঝে প্রায় ১৫৮ টন, কুতুবদিয়া উপজেলার প্রায় সাড়ে ৮ হাজার জেলে পরিবারের মাঝে প্রায় ৩৪১ টন, উখিয়া উপজেলার প্রায় ৩৪’শ জেলে পরিবারের মাঝে প্রায় ১৩৬ টন এবং টেকনাফ উপজেলার প্রায় ৭ হাজার ৯’শ জেলে পরিবারের মাঝে প্রায় ৩১৫ টন চাল বিতরণ করা হবে। স্থানীয় সংসদ-সদস্যদের সম্মতির ভিত্তিতেই এই চাল বিতরণ করা হবে।