নিজস্ব প্রতিবেদক :
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন সিকদার বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিনত করার লক্ষ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে এটাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। ক্রমে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হওয়ায় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ও আয় বেড়েছে। আজ কক্সবাজারে যারা বেড়াতে এসেছেন তারা বিদেশী পর্যটক নয়। তারা আমার দেশের পর্যটক। এতে বুঝতে হবে দেশ এগিয়ে গেছে। আমাদের সন্তানরা সৃষ্টিশীল কর্মদিয়ে সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করছে। এই অর্জন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ট রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে ৩ দিন ব্যাপি ২১ তম আন্ত:ক্লাব শ্যূটিং প্রতিযোগিতার সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। তারা উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত হতে চায়। দাঁড়াতে চাই নিজের পায়ে। তারা চায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশ। এটি বিশ্বাস ও বুকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। যারা মানুষ হত্যা করে দেশে নেগেটিভ রাজনীতির সুচনা করেছে তাদের পতন হয়েছে। জনগণ তাদেরকে ধিক্কার দিয়েছে বলেই তারা হরতাল অবরোধ দিয়ে সাধারণ মানুষের সাড়া পাননি।
যুব মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ শ্যূটিং ফেডারেশনের সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, রামু ক্যান্টেমেন্টের জিওসি এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আতাউর হামিদ সরওয়ার হাসান, বাংলাদেশ শ্যূটিং ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এমপি কমল বলেন, কক্সবাজারে দেশী-বিদেশী পর্যটকসহ সর্বস্তরের মানুষকে স্বাগত জানাতে সব সময় আমরা প্রস্তুত আছি। শ্যূটিং এর মাধ্যমে আমাদের দেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে দেশের ৪৪ জেলা থেকে আগত ক্লাব ভিক্তি অংশ গ্রহনকারি দলকে আরো দক্ষতা অর্জনের জন্য পরার্মশ দেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, এমন সুন্দর আয়োজনের মাধ্যমে দেশে অনেক শূটার সৃষ্টি হবে। আন্ত:ক্লাব শ্যূটিং প্রতিযোগিতার কক্সবাজারকে বেছে নেয়ায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান এমপি।
মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ তাঁর বক্তব্যে আয়োজনের ক্রটির কথা স্বীকার করে বলেন, এখানে আয়োজনটি প্রথমবার হওয়ায় আমাদের অনেক ভুল হয়েছে। আশা করছি আগামী আয়োজনে এমন ভুল হবে না। এসময় তিনি শূটিং ক্লাবকে এগিয়ে নিতে সবাইকে সহযোগিতা করার আহবান জানান। পাশাাপাশি কক্সবাজারে স্থায়ীভাবে শূটিং ক্লাব স্থাপন করতে হিমছড়িতে এক একর জমি বরাদ্দ চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে পুন: দাবি জানান। অনুষ্ঠানে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করায় কক্সবাজার রাইফেল ক্লাবের সংশ্লিষ্ট সকলকে সাধুবাদ জানান তিনি।
এদিকে সায়মা ফিরোজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথিদের বক্তব্যে পর শ্যূটিংয়ে অংশগ্রহনকারি চ্যাম্পিয়ন যশোর সেনা শ্যূটিং ক্লাব (দলীয়) ও আনারআপ বিকেএসপি দলসহ বিজয়ীদের মাঝে পদক প্রদান করা হয়। এরপর শুরু হওয়া মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত।