1. arif.arman@gmail.com : Daily Coxsbazar : Daily Coxsbazar
  2. dailycoxsbazar@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  3. litonsaikat@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  4. shakil.cox@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  5. info@dailycoxsbazar.com : ডেইলি কক্সবাজার : Daily ডেইলি কক্সবাজার
হজে গিয়ে সপরিবারে ১৫ মাস নিখোঁজ ব্যারিস্টার তাকিউর - Daily Cox's Bazar News
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:২২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
ডেইলি কক্সবাজারে আপনার স্বাগতম। প্রতি মূহুর্তের খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
সংবাদ শিরোনাম ::
কট্টরপন্থী ইসলামী দল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ: এসএডিএফ কক্সবাজারের আট তরুণ তরুণীকে ‘অদম্য তারূণ্য’ সম্মাননা জানাবে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি Job opportunity বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়না, নাকি স্বপ্নের দেশ! আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধের আহ্বান আরব লীগের পেকুয়ায় পুলিশের অভিযানে ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার-১ পেকুয়ায় অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল : অস্ত্রসহ আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন টেকনাফে একটি পোপা মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা ! কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-১ নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা

হজে গিয়ে সপরিবারে ১৫ মাস নিখোঁজ ব্যারিস্টার তাকিউর

ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৬
  • ৩৬৬ বার পড়া হয়েছে
                                                 হজে গিয়ে সপরিবারে ১৫ মাস নিখোঁজ ব্যারিস্টার তাকিউরব্যারিস্টারি পড়া শেষে ও পড়তে যাওয়ার আগে তাকিউর রহমান
নিউজ ডেস্ক, ডেইলি কক্সবাজার :
বগুড়া শহরের কালিতলা এলাকার ব্যারিস্টার একেএম তাকিউর রহমান গত বছরের ৪ এপ্রিল স্ত্রী রিদিতা রাহেলা ও মেয়ে রুমাইশাকে নিয়ে ওমরাহ হজ করতে ঢাকা ছাড়েন। তাদের সন্ধান না পেয়ে বাবা ব্যবসায়ী আবদুল খালেক ওই বছরের ৯ জুন ঢাকার কলাবাগান থানায় সাধারণ ডায়েরি (ডিজি) করেন।
এর ৩-৪ মাস পর অজ্ঞাত স্থান থেকে তাকিউর পরিবারের সদস্যদের ফোন করে ভাল স্থানে ও ভাল আছেন বলে জানিয়েছেন। এরপর এখন পর্যন্ত তাদের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। পরিবারের কেউ বিশ্বাস করছেন না যে, তাদের প্রিয় তাকি জঙ্গি হতে পারে।
গত বুধবার দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘৯ ব্যক্তির সন্ধানে আইনশৃংখলা বাহিনী’ এ রিপোর্ট প্রকাশ হবার ছবি দেখে স্বজন ও এলাকাবাসীরা তাকিউরকে চিনতে ও তার জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জানতে পারে। বগুড়া শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল খালেক জানান, তার তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে একেএম তাকিউর রহমান সবার বড়।
১৯৯৬ সালের দিকে ছেলেকে ভারতের দার্জিলিং-এ একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি করে দেন। ২০০৪ সালে সেখান থেকে ‘ও’ লেভেল পাস করেন। ২০০৬ সালে ঢাকার লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজ থেকে ‘এ’ লেভেল পাস করেন।
এরপর তাকে লন্ডনের ক্যানটারবেরি ক্যান্ট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করা হয়। সেখানে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেন ২০০৯ সালে। পরের বছর লন্ডন থেকেই বার-এট-ল (ব্যারিস্টার) শেষ করেন।পড়া শেষে ধর্মীয় বিষয়ে উৎসাহী তাকিউর বিদেশী বন্ধুর সঙ্গে
বাধ্যতামূলক ইন্টার্নি শেষে ২০১১ সালের প্রথম দিকে দেশে ফেরেন তাকিউর। এরপর ঢাকা হাইকোর্টে প্র্যাকটিসের পাশাপাশি লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজ, ভুঁইয়া একাডেমিসহ ৪-৫টি প্রতিষ্ঠানে আইন বিষয়ে শিক্ষকতা করতেন।
২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজের পছন্দে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মোহাম্মদ ইকবালের মেয়ে রিদিতা রাহেলাকে বিয়ে করেন। এরপর স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার কলাবাগানের বসির উদ্দিন রোডের ১৪, লেক সার্কাসে একটি ফ্লাটে (৮/বি) বসবাস করতে থাকেন।
বগুড়ার বাড়িতে খুব কম আসতেন। হাইকোর্টে প্র্যাকটিস, টিউশনি ও শিক্ষকতা করে মাসে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা আয় করতেন বলে তার পরিবারের সকলকে জানিয়েছেন।
তবে আবদুল খালেক বিয়ের পর কখনো বেয়াই বাড়িতে যাননি। তাকিউর হঠাৎ করে দাঁড়ি রাখে ও ধর্মীয় কাজে উৎসাহী হয়। আবদুল খালেক আরও জানান, গত বছরের এপ্রিলের শুরুতে তাকিউর ফোনে তাকে জানান, স্ত্রী রিদিতা রাহেলা ও দেড় বছর বয়সী মেয়ে রুমাইশাকে নিয়ে ওমরাহ হজ পালন করতে যাবেন।
তিনি তাকে জানান, ভাল মোয়াল্লিম পেয়েছেন এবং খরচ কম হবে। ৪ এপ্রিল স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে তাকিউর হজে যান। ১৩ এপ্রিল ফোনে আত্মীয়-স্বজনকে জানান, তারা সৌদি আরবে আছেন। ওমরাহ শেষ হলে ২২ এপ্রিল দেশে ফিরবেন। কিন্তু তারা ওই তারিখে দেশে ফেরেননি। ছেলের কোনো বিপদ হয়েছে বা শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাদের অন্য কোনো দেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন, এটা ভেবে তিনি (খালেক) থানায় জিডি করতে যান।
কিন্তু, ধানমন্ডি ও কলাবাগান থানা তাকে বার বার ফিরিয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে তিনি বেয়াই কর্নেল (অব.) ইকবালের সহযোগিতায় কলাবাগান থানায় জিডি করেন।
এদিকে জিডি করার ৩-৪ মাস পর তাকিউর অজ্ঞাত নম্বর থেকে তাকে ফোন দিয়ে বলেন, তারা একটা ভাল দেশে ও ভাল আছেন।
এভাবে অজ্ঞাত ফোন নম্বর ও দেশ থেকে ৩-৪ বার ফোন দেয় তাকিউর। এরপর আর শ্বশুর বাড়ি বা বাবা-মাকে ফোন দেয়নি তাকিউর। তার বাবা আবদুল খালেকের বিশ্বাস, ছেলে, বউমা ও নাতনি তুরস্ক বা সিরিয়ায় আছেন।
এদিকে ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে মর্মান্তিক ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল খালেকের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তিনি প্রায় ২০ দিন আগে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইকে তার ছেলে নিখোঁজের কথা অবহিত করেন। তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও ছেলের ছবি দেন।
আবদুল খালেক ও স্বজনরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না তাদের আদরের মেধাবী ছেলে তাকিউর আইএস বা অন্য কোনো জঙ্গি সংগঠনে জড়িয়ে পড়েছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2020 Dailycoxsbazar
Theme Customized BY Media Text Communications