1. arif.arman@gmail.com : Daily Coxsbazar : Daily Coxsbazar
  2. dailycoxsbazar@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  3. litonsaikat@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  4. shakil.cox@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  5. info@dailycoxsbazar.com : ডেইলি কক্সবাজার : Daily ডেইলি কক্সবাজার
কক্সবাজার সৈকতে নতুনকে স্বাগত জানাতে বাধভাঙ্গা উচ্ছাস - Daily Cox's Bazar News
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
ডেইলি কক্সবাজারে আপনার স্বাগতম। প্রতি মূহুর্তের খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
সংবাদ শিরোনাম ::
কট্টরপন্থী ইসলামী দল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ: এসএডিএফ কক্সবাজারের আট তরুণ তরুণীকে ‘অদম্য তারূণ্য’ সম্মাননা জানাবে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি Job opportunity বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়না, নাকি স্বপ্নের দেশ! আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধের আহ্বান আরব লীগের পেকুয়ায় পুলিশের অভিযানে ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার-১ পেকুয়ায় অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল : অস্ত্রসহ আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন টেকনাফে একটি পোপা মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা ! কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-১ নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা

কক্সবাজার সৈকতে নতুনকে স্বাগত জানাতে বাধভাঙ্গা উচ্ছাস

ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৭
  • ৩১৩ বার পড়া হয়েছে

ডেইলি কক্সবাজার রিপোর্ট :

তারুণ্যের উন্মাদনার মধ্য দিয়ে শনিবার কক্সবাজার সৈকতে অতিবাহিত হয়েছে ইংরেজি বছরের শেষদিন। পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এবছরও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বসে বৃহত্তম মিলনমেলা। এ উপলক্ষে ট্যুরিজম বোর্ডের আয়োজনে চলছে ৩দিনের জমজমাট বীচ কার্নিভাল। এছাড়া ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পশ্চিমা আদলে ডিজে পার্টিসহ নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে শহরের হোটেলগুলো। ব্যক্তিগত উদ্যোগেও আয়োজন করা হয় নানা বিনোদনমূলক কর্মসূচী।

নতুন বর্ষকে স্বাগত জানাতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নেমেছে। দেশীয় পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশী পর্যটকের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এ দিকে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনেও হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করছেন। সৈকত থেকে শুরু করে শহরের পর্যটন স্পট ও হোটেলগুলোতে তিল পরিমাণ জায়গা নেই। পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

চোখের সামনেই রক্তিম সূর্য ডুবে বিদায় নিলো আরেকটি বছর। বছরের শেষ সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে কক্সবাজারে আসা লাখ লাখ পর্যটক নয়ন জুড়িয়ে দেখে নিলেন ২০১৬ সালের সূর্যের শেষ অস্তক্ষণ। প্রতি বছরের মতো এবারো লাখো পর্যটকের পদচারণায় কক্সবাজার মুখরিত হয়ে উঠেছে। থার্টিফার্স্ট নাইটকে ঘিরে পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ-উদ্দীপনা। সৈকতে উন্মুক্ত বালিয়াড়ি, সাগরের নীল জলরাশি, পাহাড় আর প্রকৃতিক অপার পরিবেশে পর্যটকেরা দারুণ উপভোগ করেছেন। এভাবে পুরনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কক্সবাজারে ভিড় করেছেন লাখো পর্যটক।

প্রতিবছর ইংরেজি বছরের শেষদিনে কক্সবাজারে সৈকতে বসে লাখো মানুষের মিলনমেলা। প্রতিবছর এই বিশেষ দিনটিকে কেন্দ্র করে চলে জমজমাট নানা উৎসব। এবছর জৌলুস আরো বেড়েছে। সেসাথে বেড়েছে পর্যটকদের আগমনও। বিকালে সমুদ্র সৈকতে বসে এ বছরের সেরা মিলনমেলা। বছরের শেষ সূর্যাস্থকে প্রতীকী বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সৈকতে জড়ো হয় তিন লক্ষাধিক পর্যটক।

coxbazar-trurest-pic-1

৩১ ডিসেম্বর বিচ কার্নিভাল উৎসবের দ্বিতীয় দিনে সঙ্গীত পরিবেশন করে দেশের জনপ্রিয় শিল্পীরা। এছাড়া হোটেলেও সঙ্গীত আসরে মাতিয়ে তুলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পীরা। ব্যক্তিগত উদ্যোগেও আয়োজন করা হয় নানা অনুষ্ঠান। ফলে গতকালকের কক্সবাজার ছিল একটি উৎসবের নগরী। বিপণী কেন্দ্রগুলোও ছিল খুব জমজমাট।

ট্রাফিক জ্যামের কারণে রাস্থাঘাটে স্বাভাবিক চলাফেরা ছিল কঠিন। রেস্তোরায় খাবারের জন্যও দাঁড়াতে হয়েছে দীর্ঘ লাইনে। তবু বছরের শেষদিনটি ছিল পর্যটকদের কাছে খুব আনন্দময়। কারণ গত বছর কুয়াশার কারণে বছরের শেষ সূর্যাস্থ দেখা না গেলেও এবছরের আবহাওয়া ছিল খুব চমৎকার।

৩১ ডিসেম্বর শনিবার বিকালে কক্সবাজার সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, বছরের শেষ দিনটিকে বিদায় জানাতে জড়ো হয়েছেন অন্তত তিন লক্ষাধিক মানুষ। এদের মধ্যে বেশিরভাগই তরুণ-তরুণী। এদের অনেকেই নেচেগেয়ে দিনটি অতিবাহিত করে। বেশিরভাগ পর্যটকই ছিল বছরের শেষ সূর্যাস্থ’র সাথে নিজেকে সেলুলয়েডে বন্দী করতে ব্যস্ত।

এমন পরিবেশে গতকাল শনিবার কক্সবাজারে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক অবস্থান করেছেন বলে জানান কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম কিবরিয়া খান।

তিনি বলেন, শুক্রবার থেকে লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করছে। শনিবার পর্যটকের সংখ্যা আরো বেড়েছে। যদিও হোটেলে কোন কক্ষ খালি না পেয়ে অনেকেই রাতে ফিরে গেছে। কেউবা রাত কাটিয়েছে সৈকতে, গাড়ীতে বা রাস্তায়। হিমছড়ি, ইনানী, সেন্টমার্টিনও সাফারী পার্কসহ জেলার অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রেও দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়।

এ দিকে পর্যটন এলাকা সরেজমিন দেখা গেছে, পর্যটকদের ভিড়ে বিপণিকেন্দ্র ও রাস্তাঘাটে উপচে পড়া ভিড়। রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম। রেস্তোরাঁয় খাবারের জন্য মানুষের দীর্ঘ লাইন। সেন্টমার্টিনগামী জাহাজের টিকিট পেতেও করতে হচ্ছে হুড়োহুড়ি।

হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, নগরীর চার শতাধিক হোটেলে কোনো কক্ষ খালি নেই। সরকারি-বেসরকারি অর্ধশতাধিক রেস্টহাউজেও সব কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। এমনকি ফ্ল্যাটবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনগুলোও ভাড়া হয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবারে ইংরেজি নববর্ষ উৎযাপন করতে ৫ লাখ পর্যটকের সমাগম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে আগে যে হোটেল কক্ষগুলো ৩০০ টাকায় পাওয়া যেতো, সেগুলো এখন ৩ হাজার টাকা দিয়েও পাচ্ছে না কক্সবাজারে আসা পর্যটকরা। এছাড়া আবাসিক কটেজগুলো (সর্বোচ্চ ৪ জন উপযোগী) ২মাস আগেও  ভাড়া পাওয়া যেতো ৭ শ’ থেকে ১ হাজার টাকায়, সেই কটেজ এখন ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা।

coxbazar-trurest-pic

ঢাকার গেন্ডরিয়া থেকে বেড়াতে আসা রবিন জানান, কক্সবাজার বর্তমানে থাকা ও খাওয়া নিয়ে চরম কষ্ট হচ্ছে আমাদের। এর পরেও বছরের শেষ সূর্যাস্থ দেখার অনুভূতি অন্যরকম যা মিস করতে চাইনি বলেই কক্সবাজাওে আগমন।

ঢকার মধ্য বাড্ডার বাসিন্দা আশরাফ ইসলাম জানান, আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে এসেছি। আমাদের সবে মাত্র বিয়ে হয়েছে। এটা আমাদের হানিমুন পর্ব। কক্সবাজারে চলতে ফিরতে কষ্ট হলেও বেশ মজা পাচ্ছি।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্যটক এসেছেন গতকাল শনিবার।  রবিবার থেকে হোটেলগুলো খালি হতে শুরু করবে।

তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকায় কক্সবাজারে ব্যাপক সংখ্যক পর্যটক এসেছেন। এতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা লাভবান হয়েছেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত থাকলে এ বছর মে মাস পর্যন্ত আরো অন্তত ২০ লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণ করবেন বলে আশা করেন তিনি।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেষ্টহাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান, এবারের থার্টিফাস্টনাইট ও বর্ষবরণে কক্সবাজারের প্রতি পর্যটকেরা বিপুল সাড়া দিয়েছেন। যা বিগত বছরকে হার মানাবে।

অন্য দিকে পর্যটকদের এই ভিড়কে পুঁজি করে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী ও শ্রমিক গলাকাটা ব্যবসা ফেঁদেছে। হয়রানি চলছে আরো নানাভাবে। তবে অভিযোগ পেলে অপরাধ দমন ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র এএসপি মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের আগমন সত্ত্বেও এবছর কক্সবাজারে সুশৃঙ্খলভাবে ও স্বাচ্ছন্দে ঘোরাঘুরি করতে পেরেছেন পর্যটকেরা। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ছিল তিন চ্চরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এছাড়া ব্যাপক হারে পর্যটক আসার সুযোগে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারেও প্রশাসন সজাগ রয়েছে। পর্যটন এলাকায় জেলা প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমান আদালত কাজ করেছে। নাশকতার আশংকায় হোটেলের বাইরে থার্টি ফার্স্ট নাইটের সকল অনুষ্ঠান সন্ধ্যার আগেই শেষ করা হলেও হোটেল অভ্যন্তরে সারারাত অনুষ্ঠান চলেছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2020 Dailycoxsbazar
Theme Customized BY Media Text Communications