1. arif.arman@gmail.com : Daily Coxsbazar : Daily Coxsbazar
  2. dailycoxsbazar@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  3. litonsaikat@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  4. shakil.cox@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  5. info@dailycoxsbazar.com : ডেইলি কক্সবাজার : Daily ডেইলি কক্সবাজার
জবাবদিহি নিশ্চিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু হচ্ছে গণশুনানি - Daily Cox's Bazar News
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
ডেইলি কক্সবাজারে আপনার স্বাগতম। প্রতি মূহুর্তের খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
সংবাদ শিরোনাম ::
কট্টরপন্থী ইসলামী দল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ: এসএডিএফ কক্সবাজারের আট তরুণ তরুণীকে ‘অদম্য তারূণ্য’ সম্মাননা জানাবে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি Job opportunity বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়না, নাকি স্বপ্নের দেশ! আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধের আহ্বান আরব লীগের পেকুয়ায় পুলিশের অভিযানে ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার-১ পেকুয়ায় অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল : অস্ত্রসহ আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন টেকনাফে একটি পোপা মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা ! কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-১ নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা

জবাবদিহি নিশ্চিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু হচ্ছে গণশুনানি

ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৭ মে, ২০১৭
  • ২৭৯ বার পড়া হয়েছে

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা, অনিয়ম-দুর্নীতি, ভর্তি জালিয়াতি, ভুয়া সনদের চাকরি ঠেকানোসহ বেশ কিছু ইস্যুতে চালু হচ্ছে গণশুনানি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর শিগগিরই এ গণশুনানি চালু করবে। আগামী ডিসেম্বরে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান যাচাই ও বার্ষিক নিরীক্ষা নতুন পদ্ধতি পিয়ার ইন্সপেকশন চালুর পর গণশুনানি চালু হচ্ছে বলে অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণশুনানি চালুর মাধ্যমে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মতামত, অভিযোগ সরাসরি শোনা হবে। এছাড়া পরিদর্শন করতে যাওয়া কর্মকর্তাদের ব্যাপারে ধারণা নেয়া যাবে লাইভ সম্প্রচার হওয়ার এই গণ শুনানিতে। এটা সফল হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক, আর্থিক ও  প্রশাসনিক স্বচ্ছতার পাশাপাশি জবাবদিহি বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)-এর যুগ্ম পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার মানবজমিনকে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক, প্রশাসনিক ও একাডেমিক শৃঙ্খলার গতি বাড়াতে আমরা চলতি বছর থেকে পিয়ার ইন্সপেকশন চালু করছি। সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এটা চালু হওয়ার পর গণশুনানি চালু করার প্রস্তুতি আছে। তিনি বলেন, দুদক যেমন বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ভুক্তভোগীর মতামত, অভিযোগ শুনেন। ডিআইএ গণশুনানির মাধ্যমে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মতামত ও অভিযোগ শুনবে। তবে আমাদের গণশুনানির ধরনটা হবে একটু ভিন্ন। এই শুনানিতে যারা প্রতিষ্ঠান পরির্দশন করতে যাবেন তাদের মনিটরিং এবং পারফর্মেন্স শিক্ষকদের কাছে জানতে চাওয়া হবে, যা লাইভ সম্প্রচারে ঢাকা থেকে শুনা যাবে। ডিআইএ সূত্র জানায়, গত ৩রা জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ডিআইএ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি চলতি বছরের মধ্যে ডিআইএর ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন। তার নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য গণশুনানির আয়োজন করা হয়েছে। ডিআইর পরিদর্শকরা যখন সরেজমিনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যাবেন তখন শুনানি ডিআইএর অফিস থেকে অনলাইনে লাইভ সম্প্রচার করা হবে। গণশুনানিতে শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা  অংশ নিবেন। তাদের মতামতসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে স্বচ্চতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সুপারিশ আমলে নেয়া হবে। কোনো অভিযোগ থাকলে তাও খতিয়ে দেখা হবে। এতে করে এমপিওভুক্ত ও পাঠদানের অনুমতিপ্রাপ্ত সারা দেশের ৩৬ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতা নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে ডিআইএ কর্মকর্তাদের সম্পর্কেও সবার ইতিবাচক ধারণা স্পষ্ট হবে। ডিআইএ কর্মকর্তারা জানান, এ বছর তারা ২৯শ’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন। ৩৬ হাজার প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জন্য মাত্র ২৪ জন পরিদর্শন কর্মকর্তা ও চারজন অডিট কর্মকর্তা রয়েছেন। জনবল সংকট থাকলেও তারা রাতদিন অমানবিক পরিশ্রম করে স্বচ্ছতার সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। গত দুই বছরে চূড়ান্তভাবে ৫৩১জন শিক্ষকের ভুয়া সনদ চিহ্নিত করেছেন। তাদের এমপিও বাতিলসহ গ্রহণকৃত সরকারি বেতন-ভাতা ফেরত দিতে মন্ত্রণালয়ে সুুপারিশ করেছেন।
ডিআইএর প্রতিবেদনের আলোকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। আরো ১৩১জন শিক্ষকের ভুয়া সনদ চিহ্নিত হয়েছে। এসব কার্যক্রম করতে গিয়ে ডিআইএ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এক শ্রেণির অসাধু শিক্ষক নানা ধরনের অভিযোগ তুলছেন। ডিআইএ কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও প্রতিষ্ঠানের ইমেজ রক্ষার জন্যই গণশুনানির আয়োজন করা হয়েছে।
ডিআইএ কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ডিসেম্বরে চালু হওয়া পিয়ার ইন্সপেকশন বা সমজাতীয় পরিদর্শন চালুর পর এ শুনানি চালু অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। কারণ পিয়ার ইন্সপেকশনে ১১৪টি বিষয়ে মনিটরিং করা হবে অনলাইনে একটি বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে আরো জানা যাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের পেশাদারিত্ব-শ্রেণি পাঠদান মূল্যায়ন, শিক্ষকের ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য (এসিআর), প্রতিষ্ঠানপ্রধানের একাডেমিক কার্যক্রম মূল্যায়ন, শিক্ষার্থীর কৃতিত্ব মূল্যায়ন, ক্লাস রুটিন পর্যালোচনা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সমাবেশ ও শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ। এ ছাড়াও স্যানিটেশন পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ, শিক্ষার্থীর আসন ব্যবস্থা, মিলনায়তন, পাঠাগার, বিজ্ঞানাগার, ল্যাংগুয়েজ ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাবের তথ্য, শিক্ষার্থীর ভাষা ব্যবহারের দক্ষতা যাচাই, আয়-ব্যয় বিবরণী, সহশিক্ষা কার্যক্রম ও অভিভাবক-শিক্ষক সম্পর্ক ইত্যাদি। পিয়ার ইন্সপেকশনের ওয়েবসাইট, সফটওয়্যার তৈরি, সার্ভার ও অন্য যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ মোট ১০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। পাইলটিং কার্যক্রমের আওতা হিসেবে রয়েছে- সিদ্ধেশ্বরী মহিলা কলেজ, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দক্ষিণ বনশ্রী মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মদিনাতুল উলুম মডেল মহিলা মাদরাসা, মহানগর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মমতাজ উদ্দিন বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2020 Dailycoxsbazar
Theme Customized BY Media Text Communications