1. arif.arman@gmail.com : Daily Coxsbazar : Daily Coxsbazar
  2. dailycoxsbazar@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  3. litonsaikat@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  4. shakil.cox@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  5. info@dailycoxsbazar.com : ডেইলি কক্সবাজার : Daily ডেইলি কক্সবাজার
শ্রদ্ধাঞ্জলি : কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও ৬ সেনা সদস্যের অবদান - Daily Cox's Bazar News
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
ডেইলি কক্সবাজারে আপনার স্বাগতম। প্রতি মূহুর্তের খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
সংবাদ শিরোনাম ::
কট্টরপন্থী ইসলামী দল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ: এসএডিএফ কক্সবাজারের আট তরুণ তরুণীকে ‘অদম্য তারূণ্য’ সম্মাননা জানাবে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি Job opportunity বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়না, নাকি স্বপ্নের দেশ! আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধের আহ্বান আরব লীগের পেকুয়ায় পুলিশের অভিযানে ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার-১ পেকুয়ায় অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল : অস্ত্রসহ আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন টেকনাফে একটি পোপা মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা ! কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-১ নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা

শ্রদ্ধাঞ্জলি : কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও ৬ সেনা সদস্যের অবদান

ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ১১ জুন, ২০১৭
  • ৩২১ বার পড়া হয়েছে

ডেইলি কক্সবাজার রিপোর্ট :

মর্মান্তিক। বিয়োগান্তক। সজন হারানোর ট্রাজেডি। ৬টি পরিবারের আশায় ধুলোচালি। বাবা, মা, ভাই -বোন ও আত্মীয় পড়ঁসীদের ক্ষত মনে করিয়ে দেওয়ার ঘটনা। যে ঘটনা কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন ছয় সেনা সদস্য। ২০১০ সালের জুনে ক্যাম্প করে থাকা সেনা সদস্যদের ওপর পাহাড় ধসে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়কটি উদ্বোধন করেন। দৃষ্টিনন্দন এই সড়কটি পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ বলে জানানো হয় এই অনুষ্ঠানে। এ সময় সেনা সদস্যদের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করে তাদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

১৯৮৯ সালেই এই সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা হয়। তবে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এর কাজ শুরু হয় বলে জানান সড়কমন্ত্রী। কিন্তু ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে কাজ থেমে যায়। এরপর ২০০৮ সালে আবার কাজ শুরু হয়।

এই সড়কটি নির্মাণ করতে গিয়ে সেনাবাহিনীকে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। নির্মিত সড়ক সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাওয়া, লোনা পানিতে নির্মাণ সামগ্রীর ক্ষতি হওয়া, ঝড়, জলোচ্ছ্বাসের আঘাত ও ভূমিধসসহ নানা সমস্যা মোকাবেলা করে কাজ করেছে সেনাবাহিনী।

এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়টি ঘটে ২০১০ সালের ১৪ জুন রাতে। কক্সবাজারের হিমছড়ির ১৭ ইসিবি ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ছয় পাঁচ সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়। পরদিন বিকালে তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এঁরা হলেন ওই ব্যারাকের সার্জেন্ট মো. আবছার (সৈনিক নং-১৪৩৬), কর্পোরাল মো. হাবির (১৪৩৮৫২৭), মো. হুমায়ুন (১৪৪৩০৯৯), সৈনিক মো. ইসমাইল (১৪৪৭৩০৬), মো. মালেক (১৪৪৭৪৯৬)। পরে উদ্ধার হয় নিখোঁজ সৈনিক মো. আসলাম (১৪৪৭৫৯১) এর মরদেহ।

দুর্ঘটনার পর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর জানায়, এই সেনা সদস্যরা কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়কটির নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

সেই প্রাণহানির ঘটনাটি উল্লেখ করে সড়কটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার খুব কষ্ট লাগছে, আমরা এক দিকে আনন্দিত, আবার এতগুলো মানুষ জীবন দিয়েছে। তারা এখানে ক্যাম্প করেছিল কিন্তু তারা মাটি চাপা পড়ে জীবন দিয়ে যায়। তাদের কথা আমার সব সময় মনে হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের জন্য সেনাবাহিনী যে কষ্ট করেছে, তারা যখন কাজ শুরু করলো সেই ২০১০ সালে এখানে কাজ করতে গেলে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে মোকাবেলা করেই কাজ করতে হয়। সে সময় সেই বাধ ধসে মাটি চাপা পড়ে সেনাবাহিনীর ছয় জন জীবন দিয়েছে। আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের জন্য সমবেদনা জানাই।’

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত এতদিন সত্যি অবহেলিত ছিল। রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থেকেও উন্নয়নে নজর দেয়নি অতীতের রাজনৈতিকদলগুলো। স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে তারা শুধু নজর দিয়েছিল সমুদ্র লাগোয়া সরকারী সম্পদ (গণপূর্তের প্লট) দলীয় লোকজন ছাড়া যেন অন্য কেউ না পায়। কক্সবাজারে অবকাঠামোগত উন্নয়ন যেমন ছিল না তেমনি ছিল না ভালমানের যোগাযোগ ব্যবস্থাও।

ওই সময় কক্সবাজার থেকে টেকনাফ যাওয়ার রাস্তার যে বেহাল দশা ছিল, সেটা চিন্তা করলেই ভ্রমণের আনন্দ অনেকটা ম্লান হয়ে যেত ভ্রমণপিপাসুদের। বর্তমান সরকারের ঐকান্তিকতায় একদিকে সবুজঘেরা পাহাড়, অন্যদিকে সমুদ্রের ঢেউ পর্যটকদের জন্য নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সমুদ্রের তীর আর পাহাড়ের কোল ঘেঁষে তৈরি ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ (মেরিন ড্রাইভ) নিঃসন্দেহে পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে।মেরিন ড্রাইভ সড়ক পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের।

মেরিন ড্রাইভ সড়ক এখন শুধু কক্সবাজার বা গোটা দেশের নয়, বিশ্বের অন্যতম দর্শনীয় ও নান্দনিক একটি সড়কে পরিণত হয়েছে। সড়কটি উখিয়া- টেকনাফের মানুষের জীবনযাত্রার মান বদলে দেবে। পিছিয়ে থাকা এই জনপদ সমৃদ্ধ হবে অর্থনৈতিকভাবে। পুরো দেশের পর্যটনের বিকাশের ক্ষেত্রে এই সড়ক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।

বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণে প্রাণ দিয়েছেন ছয় সেনা সদস্য। পাহাড় ধ্বসে সেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল। সেই ৬ বীর সেনা সদস্যদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের জন্য সমবেদনা জানাই। – ডেইলি কক্সবাজার.কম

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2020 Dailycoxsbazar
Theme Customized BY Media Text Communications