আপনাকে ঈদ মোবারক।

আপনাদের সবাইকে ঈদ মোবারক। সেই সঙ্গে আমার ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক।

ঈদ কেমন কাটল?
আমার দুটি পরিবার। একটি এফডিসি, আরেকটি আমার ব্যক্তিগত। এবার গ্রামে যাওয়া হয়নি। ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো দেখব। টেলিভিশনে কিছু অনুষ্ঠান দেখব। এই তো।

একটু পেছনে ফিরে যাই। চলচ্চিত্রে কোনো ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই আপনি প্রায় ৩০টি ছবিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। সেগুলোর কী অবস্থা?
দেখুন, তখনকার অবস্থা আর এখনকার অবস্থা এক নয়। আমি কত বছর আগে চলচ্চিত্রে এসেছি বলুন তো। দুই-আড়াই বছর। এত অল্প সময়ে আমার ১৫টির বেশি ছবি মুক্তি পেয়েছে। গড়ে বছরে পাঁচ-ছয়টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। এটা কিন্তু কম নয়। বাকিগুলোর কাজ চলছে। সেগুলোও মুক্তি পাবে।

এত অল্প সময়ের সফল ক্যারিয়ারে কার অবদান বেশি?
আলাদা করে কারও কথা বলতে পারব না। পরিচালক, প্রযোজকের যেমন অবদান আছে, সে রকম একজন প্রোডাকশন বয়েরও আমার ক্যারিয়ারের পেছনে অবদান আছে। কারণ, আমি যখন চলচ্চিত্রের কিছুই বুঝতাম না, তখন কিন্তু তাঁরাই আমাকে প্রচুর সহযোগিতা করেছেন।

‘স্বপ্নজাল’ চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের সময় আপনার আংটিবদল নিয়ে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। বিয়ের কত দূর?
দেখুন, আপাতত বিয়ে নিয়ে ভাবনা নেই। আর ওসব ভুলে গেছি আমি। আপনি আমার কাজ নিয়ে কথা বলুন। আমার বিয়ের সময় কি হয়েছে? বিয়ে করলে সবাইকে জানিয়ে করব। মহা ধুমধাম করে করব।

আপনার সিডিউল নিয়ে পরিচালক ও গণমাধ্যমকর্মীদের নানা রকম অভিযোগ শোনা যায়।
দেখুন, আমি একজন। আর আপনারা কতজন? সবার সঙ্গে সমন্বয় করা কি একজনের পক্ষে সম্ভব? আমি তো মানুষ। তাই না।

হাতে ছবি কম না বেশি?
বললে বিশ্বাস করবেন না, কী পরিমাণ ছবির অফার প্রতিদিন পাই। কিন্তু আমি নিজে থেকেই কমিয়ে দিয়েছি। যেনতেন গল্পে আর কাজ করতে পারি না। পরিচালকেরা আসেন, গল্প শোনান, কিন্তু পছন্দ হয় না। আমি কী করব বলেন! দুটি ছবিতে অভিনয়ের পর থেকে এই সমস্যা হয়েছে।

কোন দুটি?
একটি গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’, আরেকটি মালেক আফসারির ‘অন্তর্জ্বালা’। এই দুটি ছবিতে অভিনয় করার পর আমার সবকিছু পরিবর্তন হয়েছে। সব গল্প পছন্দ হয় না।