হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলেছেন, স্বাধীন আরাকান রাজ্য গঠনের মাধ্যমেই কেবল রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব। গতকাল সোমবার দুপুরে বাংলাদেশে মিয়ানমারের দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে সংগঠনের নেতারা এ মত ব্যক্ত করেন। এর আগে বেলা ১১টা থেকেই বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে জড়ো হতে থাকেন সংগঠনের নেতাকর্মী। বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজতের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা নূর হোসেন কাসেমি বলেন, আরাকান রাজ্য স্বাধীন করা ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। রাজ্যটি স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে মিয়ানমার অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি। নূর হোসেন কাসেমি বলেন, জীবন বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সবার কর্তব্য। তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ারও আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক, ঢাকা মহানগর নেতা মাওলানা আবদুর রব ইউসুফি, মাওলানা হামিদুল্লাহ, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা নুরুল ইসলাম, মাওলানা মজিবুর রহমান, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা আহমদুল্লাহ কাশেমি, মাওলানা শেখ গোলাম আজগর প্রমুখ। পরে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাওয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। শান্তিনগর মোড় পর্যন্ত এলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। পরে পুলিশ সংগঠনটির ১০ সদস্যকে মিয়ানমার দূতাবাসে যাওয়ার অনুমতি দেয়। হেফাজতের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা নূর হোসেন কাসেমির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা আতাউল্লা প্রমুখ।