বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের শরিক লেবার পার্টিতে মহাসচিব বদল নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। পার্টির চেয়ারম্যান কর্তৃক নতুন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিয়োগের পর খোদ চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার করেছে আগের মহাসচিব গ্রুপ। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো দুটি পৃথক বিবৃতিতে পাল্টাপাল্টি এ দলীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
সন্ধ্যায় লেবার পার্টির দফতর সম্পাদক আমানুল্লাহ মহব্বত পরিচয়ে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লেবার পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. ফরিদ উদ্দিনকে লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মনোনীত করেছেন পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
এতে বলা হয়, লেবার পার্টির গঠনতন্ত্রের ১৭ (গ) ধারা মোতাবেক তিনি এ মনোনয়ন প্রদান করেন। বুধবার থেকে এই মনোনয়ন কার্যকর হবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পার্টির সকল নেতাকর্মীদের দলীয় ও জোটগত কর্মকাণ্ড গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়।
পরে রাতে লেবার পার্টির প্রচার সম্পাদক আবদুর রহমান খোকন পরিচয়ে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় কার্যালয়ে পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে স্বেচ্ছাচারিতা, অনৈতিকতা এবং সংগঠন ও ২০-দলীয় জোট বিরোধী কার্যকলাপের দায়ে গঠনতন্ত্রের আলোকে ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানকে চেয়ারম্যানসহ দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ আদেশ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর করা হলো।
এতে বলা হয়, বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরীকে চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়েছে।
লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী স্বাক্ষরিত লেখা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এখন থেকে ২০-দলীয় জোট, দলীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদেরকে পার্টির নবমনোনীত চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
যোগাযোগ করা হলে ডা. ইরান বলেন, ‘সাবেক মহাসচিব মেহেদী কো-অপারেটিভ সোসাইটি খুলে মানুষের দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। দলের ভেতরের অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। আমি এগুলো জানতাম না।’
তিনি বলেন, ‘মেহেদী দলীয় কাজে সময় দিতো না। সামনে দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন চাইবে। তাই মেহেদীকে বহিষ্কার না করেই রোববার সকালে একজন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা সন্ধ্যায় তিনজন লোক বসে চেয়ারম্যানকে বহিষ্কারের কথা বলে যা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সম্ভব নয়।’
সোমবার সকালেও তার নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পল্টনে দলীয় কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানান ডা. ইরান।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মেহেদীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।