ডিসিবি ডেস্ক :
গত বছর জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটার স্প্রিন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সামিউল ইসলাম। খুলনার এই অ্যাথলেট সময় নিয়েছিলেন ১.১৪ সেকেন্ড। এছাড়া খেপে ফুটবল খেলতেন এবং বিজেএমসির চুক্তিবদ্ধ অ্যাথলেট ছিলেন এবং কাজ করতেন খুলনার ক্রিসেন্ট জুট মিলে। যেখানে সাপ্তাহিক উপার্জন ছিল ১,৮৫০ টাকা। গত ডিসেম্বরে সেই চাকরি চলে যায়।
ফুটবল খেলে আয়ের রাস্তাও এখন বন্ধ। করোনা ভাইরাসের কারণে স্থবির এখন ক্রীড়াঙ্গন। সবমিলিয়ে ছয় সদস্যের সামিউলের পরিবার পড়ে যায় নিদারুণ অর্থকষ্টে। নিত্যদিনের খাবার সংগ্রহই কঠিন হয়ে পড়েছিল। বাবার স্বল্পআয়ে পুরো পরিবারের খাবারের সংস্থান হচ্ছিল না।
সামিউলের পরিবারের এমন দুরবস্থার চিত্র প্রকাশিত হয়েছিল একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে। যা নজর কাড়ে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের। পরে ঐ পত্রিকায় ফোন করে সামিউলের মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করেন তামিম। তারপর সামিউলের সঙ্গে কথা বলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। অর্থকষ্টে দিনাতিপাত করা অ্যাথলেটের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তামিম। পরিবারের মাসিক ব্যয় জানতে চেয়েছেন এবং সামিউলকে তিন মাসের খরচ পাঠিয়েছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে সামিউল সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি আসলে ভাবতেই পারিনি তামিম ভাই আমাকে ফোন দেবেন। শুরুতে তাকে আমি চিনতে পারিনি। পরে চিনেছি। আমি তখন অবাক। তামিম ভাই আমাকে ফোন দিয়েছে! ফোন দিয়ে পরিবার কীভাবে চলে, তা জানতে চাইলেন। তারপর সহায়তার কথা বললেন। মনে করেছিলাম, এক-দুই মাসের জন্য আর্থিক সহায়তা পাব। কিন্তু তামিম ভাই তিন মাসের সংসার খরচ পাঠিয়ে দিয়েছেন।’